রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের নির্মাণকাজসহ বিভিন্ন কারণে পাবনায় বিদেশিদের আনাগোনা রয়েছে। অনেক প্রবাসীও বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরছেন। ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও ঈশ্বরদী রফতানি প্রক্রিয়াজাত অঞ্চলে (ইপিজেড) ১২টি দেশের প্রায় ২ হাজার বিদেশি নাগরিক কাজ করেন। তাদের বিশেষ নজরদারিতে রেখেছে প্রশাসন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব রায়হান। বিদেশিদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে দাবি করে স্থানীয়দের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
শিহাব রায়হান বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার শুরুতেই বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। গত চার মাস ধরে তাদের নিজ দেশে যাওয়া ও ফেরার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। চার মাসে নতুন কোনো বিদেশি নাগরিক রূপপুরে আসেননি। এই সময়ের মধ্যে যারা দেশে গেছেন, তাদের আর রূপপুরে ফিরতে দেওয়া হয়নি। ফলে বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ প্রকল্পে রাশিয়া, জার্মানি, বেলারুশ, ইউক্রেন ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় এক হাজার ৯০০ বিদেশি কাজ করছেন। এ ছাড়া পাশের ঈশ্বরদী রফতানি প্রক্রিয়াজাত অঞ্চলে চীন, জাপান, কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা ও তুরস্কসহ বেশ কিছু দেশের প্রায় ১০০ বিদেশি কাজ করেন। সব মিলিয়ে উপজেলাটিতে ১২টি দেশের প্রায় ২ হাজার বিদেশি আছেন। এসব বিদেশিরা আশপাশেই থাকেন। দৈনন্দিন কেনাকাটার জন্য তাঁরা উপজেলা সদরের বিভিন্ন হাট-বাজার ও বিপণিকেন্দ্রে যান। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত।
এ বিষয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রতিটি কার্যক্রম অনুসরণ করা হচ্ছে। প্রকল্পের মেডিকেল সেন্টারে করোনা মোকাবিলার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত রূপপুর প্রকল্পের কোনো কর্মীর মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। ফলে সাধারণ মানুষের বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
