পাবনায় গ্রাহকের কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও শিক্ষক, তুলছেন বেতনও!

অবৈধ একটি এমএলএম কোম্পানির গ্রাহকের কোটি টাকা হাতিয়ে উধাও হয়েছেন সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের খলিলপুর উচ্চবিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক আনিসুর রহমান। তার বিরুদ্ধে প্রায় চার মাস ধরে বিদ্যালয়ে না গিয়েও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিন বিদ্যালয়ে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই সময় তাকে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে আনিসুর রহমান খলিলপুর উচ্চবিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পান। এরপর ২০২০ সালের অক্টোবরে আনিসুর রহমান শিক্ষকতার পাশাপাশি জেকা বাজার লিমিটেড নামে অবৈধ একটি এমএলএম কোম্পানির পাবনা শাখার এজেন্ট হিসাবে যুক্ত হন। পরে তিনি স্থানীয় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে ওই কোম্পানির প্রতারণার বিষয়টি ধরা পরার পর গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। পরে কোম্পানির স্থানীয় খলিলপুর শাখাটি বন্ধ করে ফাইন্যান্স ডিরেক্টর সাইদুল বাশার ও এজেন্ট আনিস মাস্টার উধাও হন।

জাহাঙ্গীর আলম ও নূর আলী নামে দুজন শিক্ষক জানান, এক লাখ টাকায় প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা করে লাভ হবে; এমন প্রলোভনে শিক্ষক আনিসের মাধ্যমে আমরা কয়েক লাখ টাকা বিনিয়োগ করি। কিন্তু কোম্পানিটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আনিস মাস্টার ও বাশার কয়েক মাস ধরে এলাকা থেকে উধাও।

খলিলপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মতিনুজ্জামান জানান, মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ৩ দিনের ছুটির দরখাস্ত দিয়ে প্রায় ৪ মাস ধরে অনুপস্থিত। কিন্তু নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন শিক্ষক আনিসুর।

অভিযুক্ত শিক্ষক আনিসুর রহমান মোবাইল ফোন জানান, যেখানে আমার নিজের জীবনেরই নিরাপত্তা নেই, সেখানে আমি কীভাবে বিদ্যালয়ে যাব। তাছাড়া আমিসহ পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের প্রায় ২ কোটি টাকা ওই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে এখন দিশেহারা।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ