পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা অপদ্ধহৃত যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টায় দাশুড়িয়ার নওদাপাড়া থেকে লাদ্ধশটি উদ্ধার করা হয়।
অপদ্ধহৃত হয়ে নিহত হৃদয় হোসেন (২৪) উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের নতুন রূপপর (ফুটবল মাঠ) এলাকার মজনু আলীর ছেলে। গত শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পাকশীর রূপপুর তিনবটতলা এলাকা থেকে হৃদয় অপদ্ধহৃত হয়।
পুলিশ জানায়, প্রকাশ্যে মাইক্রোবাসে তুলে তাকে অপদ্ধহরণ করা হয়। পরে অপহরণকারীরা ওই যুবকের মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে তার স্বজনের কাছে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
হৃদয়ের ভাই জীবন হোসেন জানান, সকালে দোকানে আসার পর পরই একটি সাদা মাইক্রোবাস থামে। সেখানে উপস্থিত লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকজন হৃদয়কে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে পাবনার দিকে চলে যায়। এ ঘটনার পর পরই ঈশ্বরদী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
অপহৃত হৃদয়ের বাবা মজনু জানান, অপহরণের পর শুক্রবার বিকেলে একবার আমার ছেলের মোবাইল ফোন থেকে আমাকে কল করে ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ওই দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। তিন দিন পর তার লাশ পেলাম।
পাকশী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের পর থেকেই আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। সোমবার রাতে মুক্তিপণের দাবিকৃত টাকা নেওয়ার জন্য অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দাশুড়িয়া-লালন শাহ সেতু মহাসড়কের নওদাপাড়া দোতলা মসজিদ সংলগ্ন চাঁদ আলী নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। চক্রটি ওই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, অপহরণকারীরা হয়তো অপহরণের পরই হৃদয়কে মেরে ফেলেছে। এ ঘটনায় একজন অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।