পাবনা জেলায় করেনা ভাইরাসে নমুনা টেস্টের সংকট এখনও কাটেনি। কয়েক সপ্তাহ ধরেই জেলায় পিসিআর ল্যাব সংকটে নমুনা পরীক্ষা আটকে আছে। তবে রাজশাহী ল্যাবে সীমিত সংখ্যক পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। এতে জেলায় প্রায় ৭শ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিন রাজশাহীতে একজন ও বগুড়ায় দুইজন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। একই সময় সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ২৬৪ জন।
বুধবার (২২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬৮৯ জনে। এ বিভাগে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৪১ জন এবং সুস্থ্য হয়েছেন ৪৮৫৬ জন। এদিন দুপুরে এক প্রতিবেদনে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. গোপেন্দ্র নাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের মধ্যে রাজশাহীর ৭১ জন, নওগাঁয় ২, নাটোরে ১ জন, জয়পুরহাটে ৪ জন, বগুড়ায় ৮৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪৭ জন ও পাবনায় ৩ জন।
তিনি জানান, রাজশাহী বিভাগে আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ৪৩১১ জন। এছাড়াও রাজশাহীতে ২৩৫১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১৮ জন, নওগাঁয় ৮৪১ জন, নাটোরে ৩৮৭ জন, জয়পুরহাটে ৬৫৫ জন, সিরাজগঞ্জে ১১৩০ জন ও পাবনায় ৬৯৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় মৃতের সংখ্যা ১৪১ জন। এর মধ্যে রাজশাহীতে ১৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুইজন, নওগাঁয় ১৩ জন, নাটোরে একজন, জয়পুরহাটে দুইজন, বগুড়ায় ৮৫ জন, সিরাজগঞ্জে ১০ জন ও পাবনায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে।
এ পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৪৮৫৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগি। এর মধ্যে রাজশাহীর ৭৬৩, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৩৪ জন, নওগাঁয় ৬১২ জন, নাটোরে ১৪৪ জন, জয়পুরহাট ১৯৫ জন, বগুড়ায় ২৩৯৬ জন, সিরাজগঞ্জ ৩০৩ জন ও পাবনায় ৩০৯ জন।
ডা. গোপেন্দ্র নাথ বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পরতে হবে। এছাড়াও সামাজিক দুরত্ব রাখাসহ মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। তবেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।