পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলোচনায় আসা পাবনায় এক শিল্পপতির বিরুদ্ধে এবার মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন চলছে। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স দখল ও গুচ্ছগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা শহরের প্রেসক্লাবের সামনে আব্দুল হামিদ রোডে সেক্টর কমান্ডার ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ-৭১ পাবনা জেলা শাখা ও একাত্তুরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পাবনা জেলা শাখার আয়োজনে এই মানববন্ধন চলছে।
অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু কর্তৃক পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স দখলের পায়তারা এবং ভিডিও রহমান হাবিবের কর্তৃক মাধ্যমে দুর্নীতির হেমায়েতপুরে গুচ্ছগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে এই মানববন্ধনে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় প্রার্টির সাবেক এমপি মোকবুল হোসেন সন্টু সহ প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নিয়েছেন।
‘পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শিল্পপতির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে’ ব্যানার পাবনা শহরে আব্দুল হামিদ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই সেদিন বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
সেদিন বক্তারা বলেন, পাবনায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কোনও শিল্পপতি অনুপ্রবেশকারীকে হস্তক্ষেপ করতে দেয়া হবে না। দুঃসময়ে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে সদ্য প্রবেশ করা নেতাদের নৌকা মনোনয়ন দেয়া মেনে নেয়া হবে না। যে কোনও মূল্যে তা প্রতিহত করতে হবে।
শিল্পপতির নাম উচ্চারণ না করে নেতারা বলেন, একজন ব্যবসায়ী-শিল্পপতি তার নিজের স্বার্থে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল বুঝিয়ে একজনকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। বাদ দেয়া হয়েছে ত্যাগীদের। অথচ আমরা বলেছিলাম আমাদের মধ্যে যারা দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছেন তাদের মধ্যে থেকে যে কাউকে মনোনয়ন দিন, আমরা মেনে নেব।
তারা আরও বলেন, এই শিল্পপতির সহযোগিতায় পাবনায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনগুলোর কমিটিও অবৈধভাবে করা হচ্ছে। বাদ দেয়া হচ্ছে ত্যাগিদের, অথচ আওয়ামী লীগের এই নেতাকর্মীরা দুঃসময়ে রাজপথে সক্রিয় থেকেছে, জীবন দিয়েছে, রক্ত দিয়েছে। অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে পাবনায় আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান তৈরি করা হয়েছে। তাই নতুন করে আর কাউকে হস্তক্ষেপ করতে দেয়া হবে।