পাবনায় আরও দুইজনের করোনা শনাক্ত

পাবনায় আরও দুইজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন দুইজনের একজনের বাড়ি ভাঙ্গুড়ায় আর অপজনের বাড়ি সাঁথিয়া উপজেলায়। শনিবার (৯ মে) নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ পাওয়া যায়।

ভাঙ্গুড়ায় করোনা বিষয়টি আইইডিসিআর থেকে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়ার পরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. হালিমা খানম। এ নিয়ে ভাঙ্গুড়ায় মোট ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন।

জানা গেছে, গাজীপুরের একটি কলেজে পড়ালেখা করত তিনি। সম্প্রতি ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের চন্ডিপুর নিজ গ্রামে আসার পর তার শরীরে স্বর্দি-জ্বর উপসর্গ দেখা দেয়।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ হালিমা খানম বলেন, এ পর্যন্ত ভাঙ্গুড়া উপজেলায় সনেন্দহভাজন ৯৪ ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠালে শনিবার রিপোর্টে আরো একজনের পজেটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়। এনিয়ে মোট তিন জনের শরীরে কোভিড-১৯ জীবানু পাওয়া গেছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিশ্চিত হবার পরই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পাশ্ববর্তী কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ ও চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে পাবনার সাঁথিয়ায় আরো একজন শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত। উপজেলার পিপুলিয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের বাড়ি লকডাউন করলেন প্রশাসন।

জানাযায়, সাঁথিয়া হাসপাতালের এমপিপিআই টেকনোশিয়ান ও পিপুলিয়া গ্রামের আব্দুল কাদের(৩৮) উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করত। সে গত ৩০ এপ্রিল বাড়িতে আসার পর অসুস্থবোধ করলে তার শরীরর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী পাঠানো হয়। গতকাল শনিবার সকালে নমুনা পরীক্ষার ফলাফল প্রজেটিভ আসে।

এ সংবাদে ঐ দিনই উপজেলা প্রশাসন বাড়িটির সম্পূর্ণ লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখে এবং লকডাউন ঘোষনা করেন।  উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জান্নাত জানান, উপজেলায় করোনা ভাইরাস সন্দেহে ৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করলে এ পর্যন্ত ২জনের ফলাফল প্রজেটিভ এবং বাকীদের নেগেটিভ আসে।

সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ জানান, আমরা পিপুলিয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের বাড়িই লকডাউন ঘোষনা করেছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হান ফয়সাল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জান্নাত, পুলিশ ও সুধীজন। ওই বাড়ি থেকে কেউ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বের হতে ও প্রবেশ করতে পারবে না। উপজেলা প্রশাসন ঐ পরিবারকে শুকনা খাবার সরবরাহ করেছেন। উল্লেখ্য উপজেলার চৈত্রহাটী গ্রামের কামাল হোসেনের গত ২৮ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষার ফলাফল প্রজেটিভ আসে। 

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ