পাবনায় অপহরণ চক্রের ৫ দুর্ধর্ষ সদস্য গ্রেফতার!

পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অপহরণ চক্রের ৫ দুর্ধর্ষ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) সিরাজগঞ্জ সদস্যরা। এসময় মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত যুবক ইউনুস আলী মিঠুকে (২৫) উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১২’র মিডিয়া কর্মকর্তা মেজর রিফাত-বিন-আসাদ। এর আগে রবিবার (১৪ আগষ্ট) সাঁথিয়া ও বেড়া থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে মো. সুমন হোসেন (২২), একই উপজেলার ধোপাদহ গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে রিফাত হোসেন (১৮), পানিসাইল গ্রামের আক্কাছ প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল্লাহ হোসেন (১৮), বেড়া উপজেলার সানিলা শাহপাড়া গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে শিমুল হোসেন (১৯), বেড়া সিঅ্যান্ডবি সানিলা এলাকার বাচ্চু খাঁর ছেলে কাওছার খাঁ (কুটি)।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৯ আগস্ট পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাথর ঘাটা চক্রপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান খাঁনের ছেলে, ইউনুস আলী মিঠু ও তার বন্ধু মেহেদী হাসান গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে বিয়ের দাওয়াত খেতে যান। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ১১ আগস্ট বাড়ি ফেরার পথে শাহজাদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে মিঠুকে অপহরণ করা হয়।

অপহরণকারীরা ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। একপর্যায়ে নগদ একাউন্টের মাধ্যমে মিঠুর ফোন নম্বরে প্রথমে ৬ হাজার পরে অপহরণকারী একজনের নম্বরে আরও ১৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন আব্দুল মান্নান খাঁন। এরপর থেকে ভিকটিম মিঠুর ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় ১২ আগস্ট সকালে র‌্যাব-১২ কার্যালয়ে অভিযোগ করেন তিনি।

এ অবস্থায় র‌্যাব-১২ সদস্যরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সাঁথিয়া ও বেড়া এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী চক্রের ওই ৫ সদস্যকে আটক করে। এ সময় ভিকটিম ইউনুস আলী মিঠুকে উদ্ধার করা হয়।

এ সময় ‘অপহরণের কাজে ব্যবহৃত’ একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ছয়টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪ হাজার ৯৫০ টাকা জব্দ করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। এ ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় মামলা হয়েছে এবং মিঠু ও গ্রেপ্তারদের সোমবার সকালে শাহজাদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ