পাবনা শহরের স্বাধীনতা চত্বর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার ২২ নভেম্বর সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাধীনতা চত্বরের উদ্বোধন করেন তিনি।
স্বাধীনতা চত্বরের পূর্বের নাম ছিল পাবনা টাউন হল। এখানেই ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ পাবনায় সর্বপ্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন বৃহত্তর পাবনা জেলার মুজিব বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর প্রধান রফিকুল ইসলাম বকুল।
২০০০ সালের ১০ নভেম্বর সিরাজগঞ্জের কোনাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রফিকুল ইসলাম বকুল। পরবর্তীতে তার শীষ্য কামরুল ইসলাম মিন্টু পাবনার মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পাবনা টাউন হলের নামকরণ করা হয় রফিকুল ইসলাম বকুল পৌর মুক্তমঞ্চ। যেটিকে সর্বশেষ নামকরণ করা হলো বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বর।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি এই মঞ্চে একাধিকবার বক্তব্য দিয়েছেন।
এই নতুন করে সংস্কার করা এই চত্বরে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, মহান মুক্তিযুদ্ধের আত্মসমর্পণের দলিল,৭ জন বীর শ্রেষ্ঠর প্রতিকৃতি, বঙ্গবন্ধুর শ্বেতপাথরের মুর্তি, বঙ্গবন্ধুর ৩২ নং বাড়ির স্মরণে বঙ্গবন্ধুর ৩২ টি উক্তি ও পাবনা সদর উপজেলার শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা।
স্বাধীনতা চত্বরের প্রধান মঞ্চের দৈর্ঘ্য ৪৬ ফুট ও প্রস্থ ৪০ ফুট এবং উচ্চতা ২০ ফুট। যার দু’পাশে দুটি গ্রীনরুম ও টয়লেটসহ ওয়াশ রুম রয়েছে । যার দৈর্ঘ্য ১৮ ফুট ও প্রস্থ ২৪ ফুট। মাঠের দৈর্ঘ্য ১১৮ ফুট ও প্রস্থ ১১৭ ফুট। যার তিন দিকে দুই স্তরের বসার গ্যালারি রয়েছে। মাঠের উত্তর-পূর্ব অংশে প্রবেশ ফটক, দক্ষিণ ও পূর্ব অংশে ছোট একটি দরজা রয়েছে।