পাবনার এক ইউএনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত

গত ২৪ ঘন্টায় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদসহ ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৯৭। করোনায় মারা গেছেন ৯ জন। উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪ জন।

শনিবার (১৫ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে ইউএনও’র করোনা পজিটিভের রির্পোট পান তিনি।

ইউএনও অফিস সূত্র জানায়, সরকারি বাসায় পৃথক কক্ষে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
শনিবার রাত ১০ টার দিকে ইউএনও সাঁথিয়া, পাবনা ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে তিনি নিজেই তার করোনা পজিটিভের কথা জানান।

ইউএনও এসএম জামাল আহমেদ তার স্ট্যাটাসে লেখেন, গত ৪/৫ দিন যাবৎ জ্বর, সর্দি, গা ব্যাথা, তীব্র কাশিতে ভুগছিলাম।অবশেষে আজ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হলাম।

সাঁথিয়া হাসপাতালের আরএমও ডা: আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দু’দিন আগে বগুড়া ল্যাবে নমুনা পাঠান। শনিবার রাত ৮ টার পরে তার পজিটিভ রিপোর্ট আসে।

ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়, ইউএনও জামাল আহমেদ স্যার করোনাকালীন দুর্যোগ সময়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সুরক্ষার চিন্তা না করে সাঁথিয়াবাসীর জন্য বৈশ্বিক এ মহামারির জন্য কাজ করেছেন। করোনার প্রভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করেছেন। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ও পরিবারের খোঁজখবর নিতে ছুঁটে গেছেন বাড়িতে বাড়িতে। পরিবারের খাদ্যসামগ্রী ও এলাকার নিরাপত্তার জন্য নিয়েছেন বিভিন্ন পদক্ষেপ। তিনি করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়াও এসময়কালে বিভিন্ন মানবিক কাজেও শরীক হয়েছেন। সামপ্রতি দু’জন পাগলীর সন্তান প্রসবের সংবাদ পেয়ে ছুঁটে গেছেন হাসপাতালে।

গর্ভবতী পাগলীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাঠিয়েছেন রাজশাহী নারী পূনর্বাসন কেন্দ্রে। ইউএনও সুস্থতার জন্য সবার নিকট দোয়া চেয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় সুস্থ্য হয়েছেন ৬৯১ জন।

পাবনা সিভিল সার্জন জানান,“মানুষ যেন অবলা হয়ে গেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থাই প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ তা আমলে নিচ্ছেন না। রাস্তা-ঘাটে চলাচলের মানুষের মুখে মাস্ক ব্যবহারের সংখ্যা খুবই নগণ্য। যার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা থেকেই যাচ্ছে।”

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ