পাবনার সাঁথিয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার ফাইনাল এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাঁথিয়া পৌরসভার উদ্যোগে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাঁথিয়ার বাজার সংলগ্ন ইছামতি নদীতে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
১০ দিনব্যাপী নৌকাবাইচের ফাইনাল দেখতে নদীর দুই পাড়ে ঢল নেমেছিলো মানুষের। পরিবার-পরিজন নিয়ে বাইচ দেখতে আসে অনেকেই। এদিন দুপুর থেকেই ঈছামতির পাড়ে লোকজনের আসা শুরু হয়। প্রতিবছরই এমন আয়োজন উপভোগ করতে পেরে আনন্দে মাতোয়ারা হন সব বয়সের দর্শকরা। জমজমাট এই আয়োজন দেখতে এই এলাকার আত্মীয়-স্বজনরা এখানে বেড়াতে আসেন। সব মিলিয়ে পুরো এলাকাতেই একটা সাজ সাজ রব পড়ে যায়।
এতে নানা বাহারি রঙের নৌকা নিয়ে অংশ নেন প্রতিযোগীরা। এবার প্রতিযোগিতায় জেলা ও জেলার বাহির থেকে প্রায় ৮টি দল অংশ নিয়েছে। শেষ দিনের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিজয়ী হয়েছে বাগচী চেলেঞ্জার এবং রানারআপ হয়েছে মায়ের দোয়া আফ্রা। চ্যাম্পিয়ন এবং রানারআপ দলটি মোটরসাইকেল পুরস্কার দেয়া হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক টুকু। সাঁথিয়া পৌরসভার মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বেড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আসিফ শামস রঞ্জন, সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমদু দেলোয়ার, সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাসুদ হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির হিসেবে শামসুল হক টুকু বলেন, ‘নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকার বঙ্গবন্ধুর প্রতীক নৌকা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক। এই নৌকা বাংলাদেশের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এই নৌকার হাল ধরেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। জাতির জন্য আজ একটি আনন্দের দিন। এই দিনেই প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনা পৃথিবীতে এসেছেন। তাঁর জাদুকরী নেতৃত্বের মাধ্যমে বিশ্বনেতাদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের একটা পরিচিতি এনে দিয়েছেন। জাতিসংঘের ঘোষণায় আদায় করে নিয়েছেন বিশ্বের তৃতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা। আর এই সবকিছুর সঙ্গেই জড়িয়ে আছে নৌকা প্রতীক।
তিনি আরও বলেন, গ্রাম বাংলার অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়ার এইসব ঐতিহ্যকে আবার ফিরে এনেছেন। এতে গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষ আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ পান। ধারাবাহিকতা রক্ষা করে প্রতিবছরই ইছামতি নদীতে নৌকাবাইচের এই আয়োজন।