পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার স্কুলছাত্র ফারুক হোসেন (১৭) হ*ত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় পাবনার স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়িয়া এলাকার সুধির চৌকিদারের ছেলে প্রভাস চন্দ্র দাস (১৮), শাহজাহান আলীর ছেলে শাহিন হোসেন (২১), ইব্রাহিম আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (২১), চৌবাড়িয়া গ্রামের ছন্নত আলীর ছেলে দুলাল হোসেন (২০), চরভাঙ্গুড়ার ইসহাক আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২২), চৌবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল করিম (৪৫), মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০), শরৎনগরের শ্রী সন্তোষের ছেলে প্রিন্স (২০), চরভাঙ্গুড়ার হাফিজুর ওরফে হাফেজের ছেলে ফরিদ আহমেদ (২২) ও বিলকিস বেগম ( ৪০)।
অপরদিকে নিহত জেলার উপজেলার চৌবাড়িয়া ভদ্রপাড়া মহল্লার সাইদুল ইসলামের ছেলে।
এজাহারের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি দেওয়ান মজনুল হক বলেন, ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ফারুক হোসেনকে হত্যার পর পুকুরে মরদেহ ফেলে দেন আসামিরা। স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে থানায় অভিযোগ দেন। এক সপ্তাহ পর ভাঙ্গুড়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ওসমান আলীর পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
পরে ১ সেপ্টেম্বর ১৮-২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের নামে মামলা করেন নিহতের মা আনোয়ারা খাতুন। কললিস্টের সূত্র ধরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম শামসুল হুদা ও এসএম ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখান থেকে তারা খালাস পাবেন বলে আশা রাখছি।