পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় রেলের জমি দখল ও খাল ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য গোলাম মোস্তফা।
উপজেলা সদরের সরকারি হাসপাতালের সামনে এমন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ চললেও স্থানীয় প্রশাসন কিংবা রেলের কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেয়নি। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর নিয়ে এলাকায় এসে গোলাম মোস্তফা ২০১৪ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে কার্যকরী সদস্য হন। এরপর আওয়ামী লীগের নব্য এই নেতা রাজনীতি ও ঠিকাদারি শুরু করেন। পাশাপাশি ভাঙ্গুড়ায় রেলের একাধিক জায়গা তিনি নিজের আয়ত্তে নেন। এক পর্যায়ে তিনি ভাঙ্গুড়া সরকারি হাসপাতালের সামনে রেলের প্রায় ১০ কাঠা খাল ভরাট করে কলার বাগান করেন। এরপর রেলের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তিনমাস আগে আরসিসি ভিত দিয়ে সেখানে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করেছেন গোলাম মোস্তফা। এর আগে তিনি প্রশাসনের নজর এড়াতে ধাপে ধাপে ভবনের বিভিন্ন অংশের নির্মাণ কাজ করেন। এরপর শ্রমিকরা গত কয়েক দিন রাতের আঁধারে ছাদে রডের কাজ করে। এ সময় এই ভবনের পাশে রেলের জায়গায় আরও বহুতল নতুন ভবন দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, রেল কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় ভাঙ্গুড়ায় শতাধিক এরকম বহুতল অবৈধ ভবন নির্মাণ হয়েছে। ভরাট হয়ে গেছে রেলের অসংখ্য খাল। রেলের এই জায়গা কেনাবেচা ও দখল নিয়ে চলে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য।
রেলের খালে ভবন নির্মাণের বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, সরকারি সম্পত্তিতে বহুতল ভবন নির্মাণের সুযোগ নেই। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রেলের পশ্চিমাঞ্চলের ভূ সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান বলেন, জনবলের অভাবে রেলের জায়গায় অবৈধ ভবন নির্মাণ ঠেকানো যাচ্ছে না। তবে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।