পাবনার চাটমোহর উপজেলার ধানকুনিয়া বাজারে সড়কের পাশের কয়েকটি সরকারি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকনের নির্দেশে গাছগুলো কাটা হয়।
ঘটনাটি স্বীকার করলেও গাছগুলো এতিমখানার জন্য কাটা হয়েছে বলে জানান ওই ইউপি চেয়ারম্যান। তবে অনুমতি ছাড়া প্রকাশ্যে সরকারি গাছ কাটার ব্যাপারে অভিযোগ তুললেও প্রভাবশালী হওয়ার কারণে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চান না স্থানীয়রা।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক ও জনপদ বিভাগের চাটমোহর-ছাইকোলা সড়কের ধানকুনিয়া বাজারে রাস্তার পাশে গঙ্গা হালদার ও শ্যামল হালদার নামে দুই জন শ্রমিক গাছ কাটছেন। গত শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একে একে পাঁচটি বড় লাটিম ও পিপুলটি গাছ কেটে ফেলেন তারা। এ সময় সরকারি এ গাছ কাটার দৃশ্য নীরব দর্শকের মতো চেয়ে দেখছিলেন স্থানীয়রা।
এই প্রতিবেদক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অনুমতি ছাড়া সরকারি গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে ওই দুই শ্রমিক জানান, দিন হাজিরার ভিত্তিতে ‘খোকন চেয়ারম্যানের নির্দেশে’ গাছগুলো কেটেছেন। পরে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তারা (শ্রমিক) গাছগুলো রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, নিয়মনীতি না মেনেই একজন চেয়ারম্যান হয়ে সরকারি গাছ কীভাবে কাটেন? তবে প্রতিবাদ কে করতে যাবে? যে প্রতিবাদ করবে তার নানা সমস্যা হবে। তাই নীরবে চেয়ে দেখা ছাড়া উপায় কী?
গাছ কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন বলেন, ‘রাস্তায় লাটিম গাছগুলো এমনি হয়েছিল। সেগুলো অনেক ছোট। গাছের পেছনেই আমার একটা নিচু জায়গা আছে। সেখানে মাটি ভরাট করা সমস্যা হচ্ছিল। সে জন্য কাটা হয়েছে। আর সেগুলো তো আমি নেবো না, এতিমখানায় দেব।থ অনুমতি ছাড়া কীভাবে কাটলেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গাছ কাটার অনুমতি তাই দেয়? আপনি বোঝেন তো সব।থ
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি শুনেছি। সরকারি গাছ কাটার সুযোগ নেই। সরকারি গাছ কেউ কাটলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।