পাবনার ঈশ্বরদীতে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ হামলার মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবুল কালাম আজাদ (৬৫) মারা গেছেন।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটায় রাজশাহী জেলা কারাগার হাসপাতালে তিনি মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব।
আবুল কালাম আজাদ ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পাকশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার গ্রামের বাড়ি পাকশীর বাঘইলে। আগামীকাল রবিবার আবুল কালামের মরদেহ নিজ বাসভবন ঈশ্বরদীর পাকশীতে আনা হবে বলে তার পরিবার জানিয়েছেন।
হাবিবুর রহমান হাবিব অভিযোগ করে বলেন, ‘অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় তাদের কারাগারে নেয়া হয়েছে। আজকে তার স্বাভাবিক মৃ্ত্যু নয়, চিকিৎসার অবহেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার বিচার করা হবে। এই ফরমায়েসি রায়ে যারা মিথ্যা স্বাক্ষী বা বিচারে জড়িত তাদের আমরা বিচার করবোই করবো।’
আজাদের ছোট ভাই আলম জানান, ১৯৯৪ সালে শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ হামলার মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তার ভাই আবুল কালাম জেল হাজতে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে রাজশাহী জেলা কারাগার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার বিকেলে তিনি মারা যান। তার দুচোখ অন্ধ ছিল। তাছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ, বোমা নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে রেল থানায় মামলা হয়। দীর্ঘ ২৫ বছর পর ২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ রুস্তম আলী ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২৫ জন যাবজ্জীবন, ১৩ জন দশ বছর কারাদন্ড ও ৯ জনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।