পাবনার সাঁথিয়ায় সোনিয়া আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পরিবারের দাবি- যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত সোনিয়া উপজেলার ধূলাউড়ি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের সাচ্ছু বারইয়ের ছেলে জাহিদ বারই’র স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের নূরদহ গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে।
এদিকে সোনিয়া খাতুনের পরিবার দাবি করছেন- পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালাচ্ছে সোনিয়া খাতুনের শশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনার পর থেকে গৃহবধুর শশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ৯ টার দিকে সোনিয়াকে তার স্বামীর বাড়ির বসতঘরে আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে থাকার খবর শুনে মেয়ের পরিবারের লোকজন থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সোমবার (৩০ জানুয়ারী) লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে পাঠায়।
সোনিয়া খাতুনের বাবা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমার মেয়ের প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তারা একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করেছিল। বিয়ের সময় কোন যৌতুক দেওয়ার কথা ছিলনা, তবুও আমি ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই জামাই যৌতুকের জন্য এবং বিদেশ যাওয়ার জন্য আমার কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে আসছিল। আমি টাকা দিতে না পারায় আমার মেয়েকে সে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।’
তিনি আরও বলেন, আমার জামাই প্রথমে ফোন করে আমাদের বলে যে- সোনিয়া অসুস্থ তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই সংবাদ পেয়ে আমরা পাবনা জেনারেল হাসপাতালে আসলেও তাদের খোঁজ পাইনি। পরে জানতে পারি- সোনিয়ার মরদেহ আমার জামাই সাচ্ছুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগও আছে কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।