বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে পাবনায় চলমান সমাবেশের মাঝখানে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনির আহম্মেদ মনিরসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গোপালপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।
ছুরিকাঘাতের পরপরই সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপ। সংঘর্ষে সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেলে নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছোটাছুটি করতে থাকে। এসময় বীণাবানী হলের সামনে থাকা পুলিশ ও ডিবি এসে বিএনপির কার্যালয়স্থ সমাবেশের সম্মুখে অবস্থান নেয়।
পুলিশ পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিলে দ্রুত নিজেদের বলয়ের নেতাকর্মীদের ব্যারিকেডে সমাবেশস্থল ত্যাগ করে বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাবনা জেলা বিএনপি’র গোপালপুরস্থ কার্যালয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এই সমাবেশে শুরু হয় দুপুর ৩টায়। বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে যুগ্ম মহাসচিব হারুন উর রশীদ হারুনের বক্তব্য চলাকালে যুবদল নেতা তসলিম হাসান সুইট ও মনির আহমেদের গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির শুরু হয়। এক পর্যায়ে মনিরকে ছুরিকাঘাত করলে সমাবেশস্থলে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসময় মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জেলা বিএনপি’র আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে ও সদস্য-সচিব সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব হারুন উর রশীদ হারুন এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ওবায়দুল রহমান চন্দন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।