পাবনার সদর উপজেলার হেমায়েতপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক চেয়ারম্যানের গ্রুপের গুলিতে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১২ জুন) রাতে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরপ্রতাপপুর কাবলিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- কাবলিপাড়ার মৃত তোফাজ্জলের তিন ছেলে হযরত মালিথা (৪৬), আব্দুল আলীম (৪৫) ও সজীব আলীর (৩৫)। তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কাবলিপাড়ার আব্দুল হাই গ্রুপের সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা গ্রুপের ব্যাপক দ্বন্দ্ব ছিল। আবদুল হাইয়ের মৃত্যুর পর চেয়ারম্যানের সঙ্গে সখ্যতা গড়লেও সম্প্রতি আলাউদ্দিন নির্বাচনে হারার পর সেই দ্বন্দ্ব আবার চাঙ্গা হয়। বেশ কয়েক বার উভয় গ্রুপ ছোটখাটো সংঘর্ষেও জড়িয়েছে। কয়েক দিন আগে চেয়ারম্যানের ছোট ভাইকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হাই গ্রুপের লোকজন। এসব বিরোধের মধ্যেই শনিবার রাতে প্রথমে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে চেয়ারম্যানের গ্রুপ গুলি চালালে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৭ জন আহত হোন।
এ ঘটনায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথাসহ ২১ জনকে আসামি করে পাবনা সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে প্রতিপক্ষ হযরত মালিথা।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘গতরাতে জমি নিয়ে বিরোধে কথা কাটাকাটি থেকে মারামারির ঘটনা শুনেছি। কয়েকজন আহত ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে হেমায়েতপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা বলেন, ‘কিছু মানুষ জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করে রেখেছে। মারামারির ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নই; লাইসেন্স করা বন্দুক থাকলেও আমি কোনো গুলি করিনি। জমির দখল ধরে রাখতেই মিথ্যা নাটক সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। জমিজমা নিয়ে বিরোধে এই ঘটনা ঘটেছে।’