বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মাথা গোজার ঠিকানা হিসেবে পাকা বাড়ি পাচ্ছেন পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার ৩৯২টি ভূমিহীন অসহায় পরিবার।
আর এ জন্য দুই শতাংশ খাস জমির উপর আধা পাকা টিনশেডের ২টি শয়নকক্ষ, টয়লেট, রান্নাঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চলতি মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে এসব বাড়ি ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণ করবেন। ভূমিহীন এসব পরিবার নতুন বাড়ি পাচ্ছেন -এমন অপেক্ষার সাথে সাথে আনন্দের বন্যায় ভাসছে।
জানা যায়, মুজিববর্ষে আশ্রায়ণ প্রকল্পের আওতায় সাঁথিয়া উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৩৭২ টি পরিবারের জন্য সরকারি খাস জমিতে গৃহনির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নে ৮৩ টি, নাগডেমরায় ৩০টি, ধুলাউড়ি ইউনিয়নে ৫৬টি, গৌড়িগ্রাম ২৪টি, কাশিনাথপুর ২৩টি, করমজা ৫১টি, নন্দনপুর ইউনিয়নের হাটবাড়িয়া ও বোয়ালমারী ৫৫টি, ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নে ২টি ও আর-আতাইকুলা ইউনিয়নে ১০টি উন্নত মানের ঘর নির্মাণ প্রায় শেষের দিকে।
ইতোমধ্যে আশ্রায়ণ প্রকল্পের উপপরিচালক ড.মো: হাবিব উল্লাহ বাহার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল জাবির জানান, দুই শতাংশ খাস জমিতে এক লাখ ৭২ হাজার টাকায় নির্মিত আধাপাকা টিনসেট প্রতিটি বাড়ীর দুইটি শয়ন কক্ষ, একটি রান্নাঘর, টয়লেট, বিদ্যুত, পানিসহ অন্যান্য সুবিধা থাকছে।
সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘরগুলো দরিদ্র ভুমিহীন পরিবারের মাঝে বিতরণ করবেন।ভুমিহীন এ পরিবারগুলোর অধির আগ্রহে সময় পার করছেন কবে উঠবেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার এ স্বপ্নের বাড়িতে।
অন্যদিকে বেড়া উপজেলার চাকলা, রাকশা, রুপপুর ইউনিয়নের ২০ টি পরিবারের মধ্যে একইভাবে আধাপাকা ২টি কক্ষ, রান্নাঘর ও টয়লেট ও বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর এ অগ্রাধিকার প্রকল্পের দেখভাল করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জামাল আহম্মেদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী।
এ সম্পর্কে তারা জানান এ প্রকল্পের কাজ সমাপ্তের পথে। প্রকৃত ভূমিহীন গৃহহীনরা যাতে প্রধানমন্ত্রীর এ পুরস্কার পান সেদিকে ও কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।আর এর ফলে প্রকৃত গৃহহীন ভুমিহীনরা যেমন তাদের মাথা গোজার ঠাঁই পাবেন তেমনি তারা সামাজিক মর্যাদা ও পাবেন। শুধু তাই নয় তাদের ঘরসহ এ দু’ শতাংশ জমির মালিকানা ও দেয়া হচ্ছে।