সকল ভেদাভেদ ভুলে আসন্ন পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ঐক্যের ডাক দিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মুর্তজা বিশ্বাস সনি।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) পাবনা শহরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে শেখ হাসিনার ক্ষমতাগ্রহণের ১২ বছর পূর্তি ও পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে সনিকে নৌকার মনোনয়ন দেয়ায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এক সমাবেশে এই আহ্বান জানান।
সনি বিশ্বাস বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে নৌকার পরাজয়ের পর এবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। কামরুল হাসান মিন্টু যেভাবে পাবনা পৌরসভাকে দুর্নীতিমুক্ত রেখেছেন এবং উন্নয়নের অব্যাহত রাখতে আমাকে পাবনায় মনোনয়ন মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। সেজন্য পাবনা পৌরসভাকে দুর্নীতিমুক্ত ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে পাবনাবাসী।
নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নৌকার এই প্রার্থী বলেন, আমি কোনও ভেদাভেদ চাই না, কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা চাই না। জননেত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন তাই আসুন আমরা সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করি। তৃণমূল নেতাকর্মীরা যেভাবে আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমাবেশে অংশ নিয়েছেন সেইভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করি।
জেলা আওয়ামীলীগের ক্রীড়া সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে ও জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আহম্মেদ শরীফ ডাবলুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আব্দুল মতীন খান, বৈরাম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির উদ্দিন মান্না, পাবনা পৌর মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ভাড়ারা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ, পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জেলা যুবলীগের আহবায়ক আলী মুর্তুজা বিশ্বাস সনি, জেলা পরিষদের সদস্য কানিস ফাতেমা পুতুল, জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক হাজি শরিফুল ইসলাম শরিফ, জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক শিবলী সাদিক, যুগ্ম আহবায়ক শেখ সাকিরুল ইসলাম রনি, সদস্য ফাহিমুল কবির খান শান্তনু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রুহুল আমিন, জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ ফিরোজ আলী, সহসভাপতি মেহেদী হাসান প্রমুখ।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঢল নামে। ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী এতে অংশ নেন।
নেতাকর্মীদের ঢলে পাবনা শহর লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। নেতাকর্মীরা ‘নৌকা’ ‘নৌকা’ ‘নৌকা’, ‘শেখ হাসিনার সালাম নিন নৌকা মার্কায় ভোটদিন, সনি ভাইয়ের সালাম নিন, নৌকা মার্কায় ভোট দিন’, ‘বিরোধিতা করিস না পিঠের চামড়া থাকবে না:- ইত্যাদি স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলে পাবনা শহর।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশের দুইদিন পরের এই সমাবেশ ঘিরেও পাবনা শহরে উত্তেজনা বিরাজ করে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবেলায় শহর জুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপড়তা জোরদার করা হয়।