সমাবেশ শেষে নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে যেতে যেতে চান বিএনপির নেতাকর্মীরা। শনিবার সমাবেশস্থলে যুব দলের এক কর্মী নয়াপল্টনের পার্টি অফিসে যাওয়ার ঘোষণা দিলে আশপাশে থাকা দলটির অন্যরা দাঁড়িয়ে যান। এরপরই সমাবেশস্থলের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
দুপুর একটার দিকে দিনাজপুর থেকে আসা একদল নেতাকর্মী সমাবেশ সংলগ্ন সড়কে বসে স্লোগান দিচ্ছেন। মাথায় তাদের যুবদল লেখা লাল টুপি। হঠাৎ তাদের মধ্য থেকে একজন দাঁড়িয়ে উচ্চ শব্দে ঘোষণা করলেন, ‘বাড়ি যাওয়া যাবে না, নয়াপল্টনে যেতে হবে। পার্টি অফিস উদ্ধার করতে হবে।’
এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। আশপাশে দাঁড়িয়ে ও বসে থাকা এবং চলাচলরত কর্মীরাও সহমত পোষন করে ‘পার্টি অফিস মুক্ত করার’ আহ্বান জানাতে থাকেন। এ সময় একদল নয়াপল্টনের দিকে যাত্রা শুরু করলে নেতাগোছের দুই তিন জন এসে তাদের থামান। তাদের একজন নিজেকে সাব্বির বলে পরিচয় দিলেও দলীয় পদবি জানান নি।
এ সময় নয়াপল্টনমুখী যাত্রার চেষ্টা করা যুবদল কর্মী শাহাদাত ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমরা কর্মীরা নয়াপল্টনে বিএনপি অফিস উদ্ধার করতে যেতে চাই। কিন্তু নেতারা যেতে দিচ্ছে না। আমরা পার্টি অফিস উদ্ধার না করে ঢাকা ছাড়বো না।
এরপর সমাবেশে আসা অন্য নেতা-কর্মীদেরও বিএনপি অফিস উদ্ধারে যাওয়ার কানাঘুষা করতে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের এক নেতা সমাবেশস্থলে ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘কর্মীরা বিএনপি অফিস অভিমুখে যাত্রা করতে চায়। কিন্তু সিনিয়র নেতারা সবুজ সংকেত দিচ্ছে না।’
দুপুর ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গোলাপবাগ মাঠের সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে কোনো নেতাই বিএনপি অফিস উদ্ধারে তৎপরতা চালানোর বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেননি। তবে তাদের বক্তব্যে দলীয় কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাজনৈতিক অধিকার হরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এদিকে সকাল থেকেই নয়া পল্টনের বিএনপি কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে নয়াপল্টন ঘিরে। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে পুলিশ তা কঠোরভাবে দমন করবে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর নয়াপল্টনে গত বুধবার পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর বিএনপি কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ। ওই দিন থেকে কোনো নেতাকর্মীকে কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।