প্রচণ্ড রোদের কারণে পাবনায় রাস্তায় মানুষের চলাফেরা কমে গেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। দুপুরের দিকে গরম বাতাস গায়ে লাগলে মনে হচ্ছে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। কোথাও স্বস্তি মিলছে না।
বিকেলের দিকে রোদের তীব্রতা কমে গেলেও গরমে হাঁসফাঁস করেছে মানুষ। খেটেখাওয়া মানুষগুলোকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রচণ্ড গরমের কারণে বাজারে তরমুজ, ডাব ও আখের রসের চাহিদা বেড়ে গেছে।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) পাবনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং পাবনায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। এছাড়াও এদিন চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহীতে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগের দিন রবিবার (২৪ এপ্রিল) পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিন ধরেই পাবনায় দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে।
এদিকে দেশের ভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে পাবনাসহ চার জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলমান তাপপ্রবাহ কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ফলে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসে সংস্থাটি বলছে, রাজশাহী, পাবনা, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহ, বরিশাল, পটুয়াখালী, দিনাজপুর, নীলফামারী ও রাঙামাটি জেলাসহ ঢাকা বিভাগ, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এছাড়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় (৩ দিন) বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।