কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো ১৩ কৃষককে ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি-এআইপি’ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিরা সিআইপিদের (বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন। দেশসেরা এই ১৩ কৃষকের মধ্যে দুইজনই পাবনার ঈশ্বরদীর বাসিন্দা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলামের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
সম্মাননা পাওয়া ঈশ্বরদীর দুই কৃষক হলেন- উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের বখতারপুর গ্রামের কৃষক শাহজাহান আলী বাদশা ওরফে পেপে বাদশা এবং একই ইউনিয়নের কৃষানি নুরুন্নাহার বেগম। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে নয়া পদ্ধতির মাধ্যমে কৃষির উৎপাদন, বিপণন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষিপণ্যের সম্প্রসারণ এবং কৃষি উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত বিভাগে তারা এই সম্মাননা পেয়েছেন। নুরুন্নাহার বেগম বখতাপুরস্থ নুরুন্নাহার কৃষি খামার এবং মো. শাহজাহান আলী বাদশ ওরফে পেপে বাদশা ওই এলাকার মা-মণি কৃষি খামারের মালিক।
পুরস্কার পেয়ে উচ্ছসিত তারা। শাহজাহান আলী পেঁপে বাদশা জানান, ‘এআইপি সম্মাননার মধ্য দিয়ে কৃষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো।’ আর নুরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘কৃষকদের এভাবে সম্মান জানানোর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব।’
উল্লেখ্য, এআইপিরা সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাবেন বিশেষ পাস। বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও সিটি কিংবা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন কর্তৃক আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে পাবেন আসন সংরক্ষণের অগ্রাধিকার। এআইপিরা ব্যবসা বা দাপ্তরিক কাজে বিদেশ ভ্রমণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসাপ্রাপ্তির নিমিত্তে বিশেষ সুবিধা পাবেন। একজন এআইপি তাঁর স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, মা, বাবা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধাপ্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন।