দুবলিয়া মেলার মেয়াদ বাড়াতে তৎপরতা, এমপি ও প্রশাসনের নাকচ

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পাবনা সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দুবলিয়া মেলার সমালোচনার মধ্যেও থেমে নেই মেলার আয়োজক কমিটি। মেলার মেয়াদ বাড়াতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন তারা। তবে এ ব্যাপারে নাকচ করে দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র পাবনা বার্তা ২৪ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্রগুলো বলছে, মেলার মেয়াদ বাড়াতে শুক্রবার পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স ও জেলা প্রশাসনের কাছে ধরনা দেয় কমিটি। রাত পর্যন্ত মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি ও চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিক খান এবং কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রইস উদ্দিন খানের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা তৎপরতা চালান। কিন্তু এমপি ও জেলা প্রশাসনের নাকচে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান তারা।

তারা আরও জানায়, সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসন মেলা কমিটির কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এবং নেতিবাচক কর্মকান্ড বাদ দিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে মেলা শেষ করতে কঠোর ভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে আয়োজক কমিটির সভাপতি ও চরতারাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিক খান এবং কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রইস উদ্দিন খানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।

গত ৯ অক্টোবর রাতে ১৫দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী দুবলিয়ার উদ্বোধন করেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। ১৬টি শর্তে এই মেলার অনুমোদন দেয়া হলেও কোনও শর্তই সেখানে মানা হচ্ছে না।

অনুমোদন না থাকায় মেলা উদ্বোধনের ৫ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে পাবনা সদর সহকারী ভূমি কমিশনার (এসিল্যান্ড) মো. শওকত মেহেদী সেতুর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের এক টিম অভিযান চালিয়ে দুবলিয়া হাজি জসিম উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অংশের মেলা বন্ধ করে দেয়।

এছাড়াও মেলার শর্ত না মানা, কমিটির সদস্যদের ছত্রছায়ায় জুয়াসহ নানা নেতিবাচক কর্মকান্ডে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মেলা শুরুর কয়েকদিন পর কলেজের পেছনে জুয়া খেলা নিয়ে মেলা কমিটির সেক্রেটারি রইস খানের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সিয়াম আরেক ছাত্রলীগ নেতা কাওছারকে মারধর করে। এনিয়েও উত্তেজনা চলছিল।

কলেজ অংশের বন্ধের পর সেখানে মেলা নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ এবং মেলা কমিটির সভাপতি স্থানীয় চেয়ারম্যানের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এই অবৈধ মেলার জন্য সিদ্দিক খানকে দায়ী করলেও সিদ্দিক খান পাল্টা কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের দায়ী করেন। আর মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রইস উদ্দিন খান ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংবাদিকদের ওপর।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ