দুপুরে কারাগারে, এক ঘণ্টার মধ্যে ‘বিচারক বদলি করে’ বিকেলেই স্ত্রীসহ আ.লীগ নেতার জামিন

পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল ও তাঁর স্ত্রী পিরোজপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী লায়লা পারভীন নিয়ে তুলকালামকাণ্ড ঘটে গেছে। দুপুরের দিকে জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়, বিকেলেই তাদের জামিন দেয়া হয়। এরপর জামিন বাতিল করে দেয়া বিচারককে বদলটি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) জেলা দায়রা জজ আদালতে এই কাণ্ড ঘটে।

এদিন দুপুরে আউয়াল তিনটি মামলায় ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীন একটি মামলায় পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মো. আব্দুল মান্নান জামিন না মঞ্জুর কারে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো আদেশের পর আউয়াল ও লায়লা পারভীনের আইনজীবী আদালতে তাঁদের অসুস্থতার চিকিৎসা প্রতিবেদনসহ হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা ও ডিভিশন দেওয়ার আবেদন করেন। বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিচারক ডিভিশনসহ হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

এর পরপরই আন্দোলন শুরু করেন আউয়ালের অনুসারীরা। পিরোজপুর হুলারহাট সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়। শহরের সার্কিট হাউস এলাকায় সড়কে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করা হয়। এ ছাড়া পিরোজপুর-পাড়েরহাট সড়কের কয়েকটি স্থানে গাছের গুঁড়ি ফেলে ও আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। শহরের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। বেলা একটার দিকে শহরের গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব সড়কে প্রতিবাদ মিছিল করেন আউয়ালের অনুসারীরা।

বিকেলের দিকে জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান ছুটিতে চলে গিয়ে যুগ্ম ও জেলা জজ নাহিদ নাসরিনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আউয়াল ও লায়লা পারভীনের আইনজীবীরা ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাহিদ নাসরিনের কাছে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিকেল চারটার দিকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক বন্ডের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা করে নিয়ে দুই আসামির জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।

ব্রেকিংনিউজ/ এসএ 

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ