একটি কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে অর্ধশত দেশে গবেষণা চলছে। এর মধ্যে ৩৯টি দেশে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। এই ট্রায়ালের ‘অন্তর্বর্তী ফলাফল’ দুই সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
জেনেভার স্থানীয় সময় শুক্রবার (বাংলাদেশ সময় শনিবার) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান ডব্লিউএইচও’র প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস।
গেব্রিয়াসুস বলেন, ‘৩৯টি দেশে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার রোগীর ওপর ওষুধের ট্রায়াল চলছে। সামনের দুই সপ্তাহের ভেতর আমরা অন্তর্বর্তী ফলাফলের আশা করছি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ‘সলিডারিটি ট্রায়ালে’ রেমডিসিভির, লোপিনাভির/রিটোনাভির এবং লোপানিভির-সহ কয়েকটি ওষুধ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
ওষুধের কথা বললেও ভ্যাকসিন কবে আসতে পারে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা।
গোটা পৃথিবীতে বিভিন্ন কোম্পানির ১৪০টি ভ্যাকসিন ট্রায়ালে আছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে আছে ১১টি কোম্পানি। দ্বিতীয় ধাপে আটটি। তৃতীয় ধাপে তিনটি। আর অনুমোদন পেয়েছে একটি কোম্পানি।
অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিটি চীনের। দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যদের ব্যবহারের জন্য ‘বিশেষ অনুমোদন’ দেয়া হয়েছে।