নিখোঁজের দুইদিন পরে পাবনার সীমান্তবর্তী শিলাইদহ এলাকা থেকে পাবনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিকিম কোম্পানির গাড়ি চালক মো: সম্রাট হোসেনের (২৯) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত সম্রাটের বন্ধুর স্ত্রী সীমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে শিলাইদহ এলাকায় গাড়ির ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
নিহত সম্রাট ঈশ্বরদী উপজেলার মধ্য অরণকোলা আলহাজ্ব ক্যাম্প এলাকার বক্কারের ছেলে। পাবনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিকিম কোম্পানির গাড়ি চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আটককৃত সীমা খাতুন ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বাঁশেরবাদার আব্দুল মমিনের স্ত্রী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, কুষ্টিয়া কুমারখালী পুলিশ ও পাবনা সদর থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সীমা খাতুনের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি অরবিন্দ সরকার বলেন, বাঁশেরবাদা এলাকা থেকে তাকে ঈশ্বরদী থানায় আনা হয়েছে। নিখোজের আগে সম্রাট তার বন্ধুর বাড়িতে যাওয়া-আসা করেছেন এজন্য সীমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় সকল আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।