মুসলিমবিদ্বেষী নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ভারতে মুসলিমদের ওপর উগ্র হিন্দুত্বাদীদের হামলা ও হত্যাযজ্ঞ চলছে। ইতিমধ্যেই তাদের হিংস্রতায় নিহত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন বাংলাদেশের মানুষ। রাজধানী ঢাকায় বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন মুসল্লীরা। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জুম্মার নামাজের পর সমমনা ইসলামী দলগুলোর ব্যানারে মসজিদের গেটে এই বিক্ষোভ শুরু হয়।
মিছিলটি বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টনের বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে। সে সময় দিল্লির সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। দিল্লি হামলা আক্রান্ত মুসলিম ও মসজিদের ছবি সম্বলিত পোস্টার ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন তারা ।
এর আগে বায়তুল মোকাররম মসজিদের আশপাশের এলাকায় ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মসজিদে বিপুল সংখ্যক মুসল্লীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। নামাজ শেষে তাদের অনেকে বিক্ষোভে যোগ দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভারতের সাম্প্রদায়িক মোদী সরকার সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে। মুসলমানমানদের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে তাদের ঘরবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদের ওপরও নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে।’
বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়কে ভারতের মুসলমানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান বক্তারা। এসময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘মোদি যদি বাংলাদেশে আসে তাহলে তাকে স্বাগত জানাতে আমরা কাফনের কাপড় পড়ে বায়তুল মোকাররম থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দাঁড়াব। ’