পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোসাব্বির হোসেন সঞ্জু ও সাবেক দফতর সম্পাদক জহুরুল ইসলামসহ বাদ পড়া ত্যাগী নেতাদের নবগঠিত পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন পদোবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
শনিবার (২৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে পাবনা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন বেলা ১১টার দিকে পাবনা জেলা স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। শত শত নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে মিছিলটি আব্দুল হামিদ সড়কসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নিউ মার্কেট হয়ে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এসময় সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, যাদেরকে নিয়ে বর্তমান কমিটি করা হয়েছে তাতে পাবনা জেলা বিএনপিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে। কমিটিতে অন্তর্ভুক্তি হওয়া অধিকাংশ নেতাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও তাদের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তারা এর আগে কখনও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। মূলত এই কমিটির মাধ্যমে পাবনায় আওয়ামী লীগকেই শক্তিশালী করা হচ্ছে।
তারা আরও অভিযোগ করেন, মোসাব্বির হোসেন সঞ্জু পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি, দুইবারের সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আরেক ত্যাগী নেতা জহুরুল ইসলাম, যিনি দীর্ঘদিন ধরে দফতর সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেছেন। বিভিন্ন সময়ে হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। তাদের মতো নেতাকে বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও এডভোকেট নাজমুল হাসান শাহীন, এম আরশেদ আলম, শহিদুর রহমান টুটুল বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম লালু, আরিফ খাসহ ত্যাগী নেতাদের বাদ দেয়া হয়েছে।
তারা দলের কান্ডারি ও অভিভাবক তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আপনি নিজে অথবা বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে জেলা বিএনপিকে ধ্বংসের মুখ থেকে রক্ষা করুন।
বিক্ষোভ মিছিলে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোসাব্বির হোসেন সঞ্জু, জেলা বিএনপির সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ও পাবনা বার সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট নাজমুল হাসান শাহীন, পৌর বিএনপির নির্বাচিত সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লালু, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ খা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেনসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।