জোবেদা খাতুন স্বাস্থ্যসেবা (জেকেজি) প্রজেক্টের চেয়ারম্যান এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ডা. সাবরিনা এখন দেশজুড়ে বহুল আলোচিত ও চর্চিত একটি নাম।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলো পরীক্ষা না করেই রিপোর্ট দেয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল রবিবার তাকে গ্রেফতার করেছে তেজগাঁও থানা পুলিশ।
এরপরই দেশের সকল মাধ্যমে ডা. সাবরিনাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। করোনাকালীন দেশের এই ভয়াবহ সংকটের সময় রোগীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এই নারী চিকিৎসকের নানা আবেদনময়ী ছবিও ঘুরছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বেরিয়ে আসছে তার ব্যক্তিগত জীবনের নানা কুটিনাটি।
জানা যায়, এরইমধ্যে গ্রেফতার হওয়া প্রতারণার মূল হোতা ও জেকেজি’র প্রধান নির্বাহী আরিফ চৌধুরীর চতুর্থ স্ত্রী ডা.সাবরিনা। আরিফ চৌধুরীর আরও দুজন স্ত্রী দেশের বাইরে থাকেন। তাদের একজন থাকেন লন্ডনে, অপরজন রাশিয়ায়। আরেক স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তবে ছাড়াছাড়ির পরও উপর মহলে দেনদরবার করে যাচ্ছেন সাবেক ওই স্ত্রী।
যদিও ডা. সাবরিনা দাবি করেছেন, আরিফ চৌধুরীর সঙ্গে তার এখন কোনও সম্পর্ক নেই। অথচ হৃদরোগ হাসপাতালে তার কক্ষের সামনে গিয়ে দেখা যায় স্বামীর নামযুক্ত নেমপ্লেটে লিখা ডা. সাবরিনা আরিফ।
শুধু তাই নয়- কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে থলের সাপও বেরিয়ে আসছে। জানা যায়, চিকিৎসক মহলে বেশ প্রভাবশালী ডা. সাবরিনা। কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়- চিকিৎসকদের একটি প্রভাবশালী সংগঠনের প্রভাবশালী এক নেতার প্রিয় বান্ধবী তিনি। সেই সুবাদে স্বাস্থ্য অধিদফতর কিংবা মন্ত্রণালয়েও ছিল তার লম্বা হাত।