জনগণ এই সরকারের অন্যয়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে ফুসে উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঢাকা-১০ আসন থেকেই তা শুরু হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের বিএনপি মনোনিত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম রবি।
তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে দানবীয় আচরণ করছে বলে বিএনপি দানবীয় আচরণ করবে এমনটা নয়। আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকার হরণ করেছে বলেই জনগণ তাদের বিরুদ্ধে ফুসে উঠবে। জনগণই বিএনপির মূল শক্তি, জনগণ ফুসে উঠবে না এমনটা ভাবার কারণ নেই, জনগণ ফুসে উঠবেই। জনগণ ফুসে উঠার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তির কাছে পরাজিত হবেই। তাদের সকল অপকর্মের জবাব জনগণের কাছে দিতেই হবে।’
বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রবীন্দ্রসরোবর এলাকায় প্রাত: ভ্রমণকারীগের সংঙ্গে গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণের সময় ধানের শীষের এই প্রার্থী এসব কথা বলেন।
শেখ রবিউল আলম রবি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি গড়ে উঠেছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আদর্শে ও সততায়। এই দলের নেতাকর্মীদের যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা কোন ব্যাপার না। আমরা এও জানি- কীভাবে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ বিএনপিকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। এই উপ-নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে ত্যাগ স্বীকার করবে।’
ধানের শীষের প্রার্থী বলেন, ‘আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে জনমত গঠন করছি। উজ্জীবিত করছি। জনগণ সরকারের দুশাসনের যে প্রতিবাদ প্রতিরোধ করবে তার জন্য ক্ষেত তৈরি করছি। গত ১১ বছর যাবত বিএনপি বসে নেই বিধায় আওয়ামী লীগ আজ পরাজিত শক্তি। রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা মানে জয় না। আদর্শিক ভাবে আওয়ামী লীগ পরাজিত শক্তি। আওয়ামী লীগের জনগণের প্রতি আস্থা নেই। কারণ তারা মানুষের ওপর দুশাসন চালিয়েছে। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। অপশাসন, দুশাসন ও দুর্নীতি তাদের মূলনীতি। আওয়ামী লীগ একটি দেউলিয়া দল। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আক্ষমতায় টিকে আছে। এদেশের জনগণ সেটারও অবসান ঘটাবে।’
রবি বলেন, ‘নৌকা প্রতীক মানে এমপি। বাংলাদেশে এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিধায় অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা এমপি হতে চায়। রাজনীতি করে পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য হতে হয় সেটা আওয়ামী লীগের মধ্যে নাই। বর্তমানে জাতীয় সংসদে ৬৯ শতাংশ অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা সংসদ সদস্য। এটা কেন হলো? আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতি নৎসৎ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে রাজনীতি নির্বাসত করতে চায়। আওয়ামী লীগ নিজেরাও রাজনীতি করে না। অন্য দলগুলোকেও রাজনীতি করার সুযোগ দিচ্ছে না।’
ধানের শীষের জয়ের ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রবি বলেন, ‘জয় নিয়ে আমি চিন্তিত নয়। আমি একটা বিষয়ে চিন্তিত যে, আওয়ামী লীগ কীভাবে তাদের দেউলিয়াত্ব প্রকাশ করবে? তারা কি ক্ষমতা লোভী রাজনীতি অব্যাহত রাখবে? নৌকা বিজয়ী করতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করবে? যদি করে তাহলে আমাদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের দায়িত্ব বেড়ে যাবে। এমনও হতে পারে ঢাকা-১০ আসন থেকে শুভ সূচনা শুরু হতে পারে বিএনপির।’
এ সময়ে ধানমন্ডি থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাবিরুল হায়দার চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদত শাহাদাৎ হোসেন সৈকত, শ্রমিক দলের সভাপতি আবু কাওছারসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।