সাতসকালে পাবনায় গৃহবধুকে হত্যা, স্বামী ও হামলাকারী হাসপাতালে

দিনের আলো না ফুটতেই পাবনায় প্রাণ হারালেন গৃহবুধ। ঘরে ঢুকে গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এক যুবক। এসময় গৃহবধুর স্বামীকেও গুরুতর আহত করেছে সে। আহত অবস্থায় হামলাকারীকে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।





মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুনশিদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শারমীন শিলা ওই গ্রামের রানাউর রহমানের স্ত্রী। আটক অভিযুক্ত সুমন আলী (৩০) একই উপজেলার সরাইকান্দি গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন, তিনতলা বাড়ির তৃতীয়তলায় থাকতেন তারা। গৃহবধূ শারমীন শিলা সাংসারিক কাজ করছিলেন। স্বামী ঘুমিয়ে ছিলেন। তার শ্বশুর-শাশুড়ি হাঁটতে বের হয়েছিলেন। বাড়ির প্রধান দরজা খেলা ছিল। এ সময় অভিযুক্ত সুমন বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূ শারমীনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। চিৎকারে স্বামী রানাউর রহমান স্ত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকেও আঘাত করে হামলাকারী। তার সঙ্গে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে হামলাকারী সুমনকে তিনতলা বাড়ির ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেন রানাউর রহমান। পরে এলাকাবাসী তাকে আহত অবস্থায় আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এর মধ্যেই ঘটনাস্থলে মারা যান গৃহবধূ।

পুলিশ অভিযুক্ত সুমনকে আটক ও গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। আহত স্বামী রানাউর রহমানকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর আহত অভিযুক্ত সুমনকে পুলিশি পাহাড়ায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ফিরোজ কবির বলেন, হত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব কোনো শত্রুতার কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তারপরও বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ