সড়কপথে বাড়ি ফেরার পাশাপাশি আরিচা-কাজিরহাট রুট হয়ে ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোটসহ যে যেভাবে পারছেন ঢাকা ছেড়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন। ঘরমুখো মানুষের চাপে আজ শনিবার সকাল থেকেই পাবনার কাজিরহাট ফেরিঘাটে পা ফেলার জায়গা নেই।
কাজিরহাট ফেরিঘাটের ম্যানেজার মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘আরিচা-কাজিরহাট রুটে প্রতিদিন ৩টি ফেরি দিয়ে প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন হালকা যানবাহনে করে আরিচা-কাজিরহাট হয়ে ঘরে ফিরছেন মানুষ।’
প্রতিটি ফেরিতে সহস্রাধিক যাত্রীর চাপে যানবাহন বেশি লোড করা যাচ্ছে না। যাত্রীর চাপ আজ সারাদিনে আরও বাড়বে এবং আগামীকালও চাপ বাড়বে বলে জানান তিনি। মাহাবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘যাত্রীর চাপ থাকলেও গাড়ির চাপ কম থাকায় আরও একটি নতুন ফেরি সংযোজনের কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি।’
শুধু ফেরিতে নয়, লঞ্চ ও স্পিডবোটে করেও বিপুল সংখ্যক মানুষ ঝুঁকি নিয়েই ঘরে ফিরছেন। সাভার থেকে পাবনায় আসা যাত্রী মিজানুর রহমান জানান, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ফেরিতে উঠতে না পারায় স্পিডবোটে করেই তাকে ফিরতে হয়েছে।
যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় প্রতিটি স্পিডবোটে গাদাগাদি করে প্রায় ২০ জন যাত্রী পার করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গমুখী ঘরে ফেরা মানুষের চাপে সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বাড়লেও অন্যান্য বছরের মতো এ বছর তেমন যানজটের সৃষ্টি হয়নি।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার মহাসড়কে ৪ লেনের কাজ চলমান রয়েছে। ফলে আগের ২ লেন দিয়েই ধীরে ধীরে যানবাহন চলাচল করায় অতিরিক্ত সময় লাগছে বলে জানান মহাসড়ক সংশ্লিষ্টরা।
সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার রাত থেকেই বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলা ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলার ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চাপে যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে গেছে।’
দিন যত গড়াবে, যানবাহনের চাপ আরও বাড়বে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। তবে যানবাহনের চাপ বাড়লেও মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।
ওসি বলেন, ‘মহাসড়কে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকায় যানবাহনের কিছুটা ধীর গতি থাকলেও চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’