ক্ষতিপূরণ চান ইছামতি নদীর পাড়ের ‌’বৈধ’ বসতিরা

জায়গা অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পাবনার ইছামতি নদীর পাড়ের ৪টি বৈধ রেকর্ডধারী শতবছর ধরে বসবাসকারী ও ভূমি মালিকরা।

সোমবার (১৬ মে) দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এই কর্মসূচি পালন করেন ইছামতি নদী পাড়ের বৈধ বসতি স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন প্রফেসর কামরুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান মিন্টু, আবুল কালাম আজাদ, আফরোজা নাহার, মিসেস নয়ন প্রমুখ। এই মানববন্ধনে নদী পারের বৈধ বসতি দাবিদারদের পরিবার-পরিজন বাবা মা স্ত্রী সন্তানসহ শতাধিত মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।

বক্তারা বক্তব্যে বলেন, শত বছর ধরে পৈত্রিকভাবে প্রাপ্ত নদী পারের বৈধ জায়গার উপরে স্থাপনা নির্মাণ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবসাস করে আসছেন তারা। সরকারের নিয়ম মেনে খাজনা খারিজ পরিশোধ করেছেন্। এই সকল জমির চার চারটি পাকা রেকর্ড রয়েছে তাদের কাছে। তবে কেমন করে এই জমি অবৈধ বলে তাদের উচ্ছে করা হচ্ছে।

তারা বলেন, এই ইছামতি নদী উদ্ধার, সংস্কার ও খনন করছে সরকার। কিন্তু নদী পাড়ের বৈধ বসতিদের অবৈধ ভাবে উচ্ছেদ করে তাদের সর্বশান্ত করা হচ্ছে। নদী গতিপথ ফিরিয়ে আনার জন্য নদী পারের বৈধ বসতিদের স্থাপনা জমি অধিগ্রহণসহ ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে পারতো সরকার। সরকারের দিকনির্দেশনা থাকায় আইনগত ভাবে সঠিক বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা। তাই অসহায় মানুদের পাশে মানবিক সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবেন প্রধানমন্ত্রী। তাই সরকার প্রধানের সুদৃষ্টি কামনা করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।

তারা আরও বলেন, এই উচ্ছেদের ফলে মাথা গোজার কোন জায়গা নেই বেশিরভাগ পরিবারের। বৈধ জায়গা আজ অবৈধ বলাতে দিশেহারা হয়ে পরেছেন তারা। এসময় শতশত নারী পুরুষ কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। উচ্ছেদের পরে পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকছেনা তাদের। তাই নদী কমিশন, পানিউন্নয়ন বোর্ড ও সরকার প্রধানের সুদৃষ্টি কামনা করেন ভুক্তভোগীরা।

একই সাথে ইছামিত নদী পারের বৈধ বসতিদের ক্ষতিপূরণের মধ্যদিয়ে পূর্নবাসনের সুযোগ প্রদান করবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা নদী পাড়ের সাধারণ মানুষদের। পরে মানবন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ