পাবনার বেড়া উপজেলায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আয়নুল হক (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০ জন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করেছে।
আয়নুল হক উপজেলার কৈটোলা ইউনিয়নের মাছখালি গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম আশকার প্রামাণিক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বেড়া উপজেলা কৈটোলা ইউনিয়নের মাছখালি গ্রামের হাবিবর প্রমাণিকের ছেলে রওশন আলী ও একই গ্রামের নওশের শেখের ছেলে ওসমান গনির মধ্যে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এতে রওশন আহত হয়। পরে তাকে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে হাবিবর প্রামাণিক গ্রুপের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে নওশের শেখ গ্রুপের লোকজনের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় উভয়পক্ষ লাঠিসোটা, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে একজন নিহত হন। আহত হন আরো অনেকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন, রওশন প্রমাণিক (৩০), মিন্টু শেখ (৫০), মুবাই শেখ (৩০), ওসমান গনি (৩৪) মোহাম্মদ আলী (৩০), কালু হোসেন (৩০), রমজান আলীকে (২৮) মনজেল (৬০), বরকত (৪০), জিকরুল (১৮) আব্দুলল্লাহ (১৮), সারাতন খাতুন (৫০), বোরহান আলী (৭০), আজিজুল (২৮), ফাতেমা খাতুন (৪০), মিলন (৩৪) ইমরান (৩২), উজ্জল (৩৫) চঞ্চল(১৮) । তাদের বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে আয়নুল হকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শেখ গোষ্ঠির লোকজন হামলা চালিয়ে প্রামাণিক গোষ্ঠির লোকজনের বেশকিছু দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। দুপুরে উভয় গ্রুপের মধ্যে আবারো ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন।
এ বিষয়ে বেড়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। উভয় গ্রুপের পক্ষ থেকে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।