করাচিতে বুধবার রাত পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামির সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় অন্তত ৩৯ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি।
জামায়াতে ইসলামির মুখপাত্র জানান, গুলশান-ই-ইকবাল এলাকায় সমাবেশের অংশ হিসেবে থাকা একটি প্রধান ট্রাকের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটে।
সিন্ধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া সমন্বয়কারী মিরান ইউসুফ জানিয়েছেন, আহতদের নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের বেশির ভাগই সামান্য ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
পুলিশের ইস্ট সিনিয়র সুপারিনডেনটেন্ড সাজিদ সাদোজাই বলেন, মোটরসাইকেলে করে দুই অপরিচিত লোক সমাবেশে একটি আরজিডি-১ গ্রেনেড নিক্ষেপ করেই পালিয়ে যায়। সেখানে বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল বলে যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, তিনি তা নাকচ করে দেন।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণটি ঘটে বাইতুল মোকাররম মসজিদের কাছে। বিস্ফোরণের পর সেখানে থাকা গাড়িগুলোর জানালা ভেঙে যায়। বিস্ফোরণের পরপরই বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
সামাজিক মাধ্যমে হামলার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধঘোষিত সিন্ধুদেশ রেভুলশনারি আর্মি (এসআরএ)।
ভারত-অধিকৃত কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই সমবেশ আয়োজন করা হয়েছিল। এক টুইট বার্তায় জামায়াতের প্রধান সিরাজুল হক বোমা হামলাকে কাপুরুষোচিত কাজ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
সূত্র : ডন