রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৫টা) সংঘর্ষ চলছে।
এদিকে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির নাম মকবুল আহমেদ। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। দুপুরে নেতাকর্মীদের বেশ ভিড় দেখা যায়। এসময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। বিএনপির নেতাকর্মীরাও লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করে। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় নয়াপল্টন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা দফায় দফায় মিছিল করেন। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন।
এদিকে, এ সংঘর্ষের ঘটনায় সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। বিকেল সোয়া ৩টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
অন্যদিকে সংঘর্ষ চলাকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ দলের শতাধিক নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের সংক্ষিপ্ত ব্রিফ করেন তিনি। এসময় রিজভী দাবি করেন, পুলিশের ছোড়া গুলিতে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ।
তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে নয়াপল্টন এলাকায় সতর্ক অবস্থান নেয় পুলিশ। বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। সেখানে পুলিশের একাধিক সাজোয়া যান, প্রিজন ভ্যানও রাখতে দেখা যায়।