এবার ভুয়া করোনা টেস্টে সম্পৃক্ত ‘আরেক সাঈদকে’ ধরতে পুলিশের রিক্যুইজিশন

পাবনায় ভুয়া করোনা টেস্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাক্তার আবু সাঈদকে গ্রেফতারে রিক্যুইজিশন পাঠিয়েছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় পাঠানো হয়েছে এই রিক্যুইজিশন।

ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ মো. নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, বিনা অনুমতিতে করোনা  টেস্টের স্যাম্পল নিচ্ছিল ঈশ্বরদীর রূপপুর মেডিকেয়ার ল্যাব। আর এতে সহযোগিতা করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ। আমরা সকল তথ্য হাতে নিয়ে মামলা করেছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করেই এ কাজ করেছে। ওদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. সেলিম উদ্দিন জানিয়েছেন, ঈশ্বরদী থানার ওসির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি রিক্যুইজিশন পাঠিয়েছেন।

তবে আমরা এখনো তা পাইনি। তাছাড়া ঈশ্বরদী থানাকে বৃহস্পতিবার ডাক্তার আবু সাঈদের সংবাদ সম্মেলনের কথা জানানো হয়। তিনি বলেন, একজন আসামি কি করে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেলিম উদ্দিন বলেন, রিক্যুইজিশন হাতে পেলেই আমরা তাকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামবো।

ওদিকে ডাক্তার আবু সাঈদের প্রতিষ্ঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ করোনা টেস্টের অনুমতি পায় ২২শে জুন থেকে। অথচ ১৭ই জুন মেডিকেয়ার হাসপাতালকে তাদের স্যাম্পল দেয়ার জন্য লিখিত অনুমতি দেয়া হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ থেকে। অনুমতির আগেই স্যাম্পল সংগ্রহ নিয়ে চিঠি দেয়ায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

ওদিকে করোনা টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে ইতালি গিয়েছিলেন মো. সিরাজ মিয়া। সেখানকার বিমানবন্দর থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে দেশে ফেরত পাঠানো হয় তাকে। সিরাজ এখন কোয়ারেন্টিনে আছেন ঢাকার হজক্যাম্পে। তার পাসপোর্ট নম্বর ইক০৭৩২৬৯২। তার করোনা পরীক্ষা নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে তদন্ত।

পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপারকে এব্যাপারে খোঁজ নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। সিরাজের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের ধোবাজাইল গ্রামে। তার পিতার নাম সোনা মিয়া। বেসরকারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে করোনার নমুনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন তিনি।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ