বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘গৌরবদীপ্ত অবদানের’ স্বীকৃতি হিসেবে এবার একুশে পদক পেয়েছেন ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। এই ২১ জনের মধ্যে বৃহত্তর পাবনা জেলারই ৫ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক-২০২১ বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিশিষ্ট নাগরিক ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পদক তুলে দেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ৪ ফেব্রুযারি ২০২১ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন চার লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, শিল্পকলা, সাংবাদিকতা, সাহিত্য, শিক্ষা, অর্থনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য একুশে পদক দেওয়া হয়।
ভাষা আন্দোলনে এ বছর মরণোত্তর একুশে পদক পান তিনজন। তারা হলেন- মোতাহের হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার), শামছুল হক ও আফসার উদ্দীন আহমেদ। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য পদক পান সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর), গোলাম হাসনায়েন ও ফজলুর রহমান খান ফারুক।
সংগীতে পাপিয়া সারোয়ার, অভিনয়ে রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সুজাতা আজিম, নাটকে আহমেদ ইকবাল হায়দার, চলচ্চিত্রে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, আবৃত্তিতে ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এবার একুশে পদক পেয়েছেন।
সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত, আলোকচিত্রে পাভেল রহমান, গবেষণায় সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে মির্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামানকেও পদক দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ভাষা ও সাহিত্যে কবি কাজী রোজী ও লেখক-গবেষক গোলাম মুরশিদের পাশাপাশি বুলবুল চৌধুরীও একুশে পদক পান।
বৃহত্তর পাবনা জেলার ৫ জন হলেন- ডা. কাজী কামরুজ্জামান, আ্যডভোকেট গোলাম হাসনায়েন, ড. মির্জা আব্দুল জলিল, মোতাহার হোসেন তালুকদার (মরণোত্তর) ও সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর)।
ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্ত থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিশিষ্ট নাগরিকদের পাশপাশি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।