বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আগামী শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেশের ২১ বিশিষ্টজনকে ‘একুশে পদক-২০২১’ প্রদান করা হবে। এই ২১ জনের মধ্যে বৃহত্তর পাবনা জেলারই ৫ জন রয়েছেন।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল ১১টায় এই পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।
তথ্য অধিদফতর থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে। পুরস্কার প্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক,এককালীন ৪ লাখ টাকা ও একটি সম্মাননা পত্র প্রদান করা হবে।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ বছরের জন্য একুশে পদক পাওয়া বিশিষ্টজনদের নাম ঘোষণা করা হয়।
২১ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা হলেন- ভাষা আন্দোলনের জন্য মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার-মরণোত্তর), শামছুল হক (মরণোত্তর) ও আফসার উদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর)। শিল্পকলায় পাপিয়া সারোয়ার (সংগীত), রাইসুল ইসলাম আসাদ (অভিনয়), সালমা বেগম সুজাতা (অভিনয়), আহমেদ ইকবাল হায়দার (নাটক), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র), ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় (আবৃত্তি), পাভেল রহমান (আলোকচিত্র)।
মুক্তিযুদ্ধে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুমা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর)। সাংবাদিকতায় একুশে পদক পাচ্ছেন অজয় দাশগুপ্ত, গবেষণায় ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মির্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান, ভাষা ও সাহিত্যে কবি কাজী রোজী, বুলবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ।
বৃহত্তর পাবনা জেলার ৫ জন হলেন- ডা. কাজী কামরুজ্জামান, আ্যডভোকেট গোলাম হাসনায়েন, ড. মির্জা আব্দুল জলিল, মোতাহার হোসেন তালুকদার (মরণোত্তর) ও সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর)।