দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ব্যাপকতার পরিপ্রেক্ষিতে যশোর-৪ ও বগুড়া-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি।
রবিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি এই তফসিল একেবারেই সময়োপযোগী হয় নাই। দেশের এই চরম দুঃসময়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রামণে যখন হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, প্রতিদিন যখন মানুষ মারা যাচ্ছে, যখন আতঙ্ক ছড়িয়ে আছে সারা দেশে। যেখানে সরকার থেকেও সোশ্যাল ডিসটেনসিং এবং সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে সেই সময়ে ভোটগ্রহনটা একেবারেই কোনো মতে গ্রহনযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, করোনার এই সময়ে এই ধরণের ভোট গ্রহনের পরিকল্পনা রাজনীতির উদ্দেশ্যে প্রণোদিত বলে আমরা মনে করি। এই কারণে এই উপনির্বাচনে আমাদের অংশগ্রহন করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এর আগে সব নির্বাচনে অংশগ্রহন করে্ছি। বর্তমান প্রেক্ষিতে আমাদের এই নির্বাচনে অংশগ্রহন করা সম্ভব নয়।
শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকের পর ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর যশোর-৪ ও বগুড়া-১ আসনের উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী এই দুইটি আসনে ১৪ জুলাই ভোটগ্রহণ হবে।
গত ১৮ জানুয়ারি সাংসদ আব্দুল মান্নানের মৃত্যুতে বগুড়া-১ এবং ২১ জানুয়ারি ইসমত আরা সাদেকের মৃত্যুতে যশোর-৬ আসন ফাঁকা হয়। গত ২৯ মার্চ এই দুইটি আসনের উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো। করোনা ভাইরাস সংকটের কারণে ভোটের সপ্তাহখানেক আগে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।
বিকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব ছাড়া খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু নিজ নিজ বাসা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন।
ব্রেকিংনিউজ/ এএইচ/ এসএ