ঈশ্বরদীর মুলাডুলিতে গলায় গামছা জড়িয়ে দিনাজ প্রামানিক (৪৫) নামের এক কৃষককে হত্যার ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের সরইকান্দি আদর্শগ্রাম পশ্চিমপাড়ার রুস্তুম আলীর ছেলে আরকান্দিস্থ আর আর পি ফিডের ট্রাক চালক কামরুল হাসান ওরফে কামির ফকির (৪২) ও একই গ্রামের মৃত জামাল ব্যাপারির ছেলে কামিরের ট্রাকের হেলপার মফিজুল ইসলাম মিন্টু (৩৫) এবং নিহত দিনাজের স্ত্রী হোসনে আরা বেগমকে (৪০)।
গত সোমবার গভীর রাতে ট্রাকসহ চালক কামির ফকির, হেলপার মিন্টুকে ঈশ^রদীর মুলাডুলির রেলগেট থেকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে খুনের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দিনাজের স্ত্রী হোসনে আরাকে নিজবাড়ি থেকে আটক করা হয়।
স্ত্রীর পরকিয়ার কারণে দিনাজকে গত ১৯ এপ্রিল/২০২০ গলায় গামছা জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে লাশ একটি কবরস্থানে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছেন ঈশ^রদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে আটককৃতদের পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
থানা সুত্র জানায়, নিহত দিনাজের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ও তার পরকিয়া প্রেমিক ট্রাক চালক কামির ফকির সম্পর্কে ফুফু-ভাতিজা। ছোট বেলা থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। বিয়ের আসর থেকে জোড় করে হোসনে আরাকে অপহরণ করে এনে বিয়ে করেছিলো দিনাজ। কিছুদিন পর দিনাজ বিদেশে পাড়ি জমায়। এই সুুযোগে হোসনে আরা ও কামির ফকিরে মধ্যে পরকিয়া সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ট হয়ে উঠে। দীর্ঘদিন পর বিগত তিন বছর পূর্বে দিনাজ দেশে ফিরে এসে কৃষি কাজ শুরু করে। এতে স্ত্রীর পরকিয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় দিনাজ। এরপরই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) অরবিন্দ সরকার বার্তা সংস্থা পিপ‘কে জানান, স্ত্রীর পরকিয়ায় বাধা হওয়ায় স্ত্রী, স্ত্রীর প্রেমিক কামির ও তার সহকারী পরস্পরের যোগসাজছে গত ১৯ এপ্রিল/২০২০ মোবাইলে ডেকে এনে প্রথমে গাঁজা সেবন করিয়ে দিনাজকে বেসামাল করে। পরে তাকে ট্রাকের চালকের ক্যাবিনে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে গলায় গামছা জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ মুলাডুলির গোয়ালবাতান গ্রামের হায়দার মাস্টারের পারিবারিক কবরস্থানে ফেলে রেখে যায়।