পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের চর কুড়ুলিয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে নুরু মালিথার ছেলে গুলিবিদ্ধ আলম বাদশা, জামাত মালিথার ছেলে জনি মালিথা ও এক নারীকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর পক্ষের নুরুল প্রামানিকের ছেলে আলামিন ও একনারীকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি পাবনা বার্তা ২৪ ডটকমকে নিশ্চিত করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, গুলিবিদ্ধ আলম বাদশাসহ সবারই অবস্থা মোটামুটি ভালো তবে জনি মালিথার অবস্থা কিছুটা গুরুত্বর।
এলাকাবাসী জানান, পৃর্বশত্রুতার জেরে গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা চলছিল। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা পর ও পরদিন উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে আবারও তারি সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, আহতদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।