প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা মাকের্ট ও শপিংমল শর্ত দিয়ে খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। অর্থনীতির চাকা গতিশীল এবং ঈদের আগে কেনাকাটা করার ব্যবস্থা করতে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকান-পাট খোলা রাখা যাবে।
তবে সরকারি এই নির্দেশের পরও মার্কেট-শপিংমল খুলছেন না মালিকারা। মালিকপক্ষ বলছে, করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক পর্যায়ে, আর দোকান খুলতে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শর্ত পালন করে দোকান খুলে ব্যবসা করা যাবে না।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, বিদ্যমান অবস্থায় সরকারি শর্ত মেনে দোকান খোলা অনেকটা কঠিন। এ অবস্থায় ব্যবসাও হবে না। এমনটি চিন্তা করে ব্যবসায়ীরা দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি ঘোষণার পর পরই ঢাকার অন্যতম দুই সুপার মল বসুন্ধরা ও যমুনা ফিউচার পার্ক না খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।
ঈদের আগে দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর অন্যতম মৌচাক এবং আনারকলি মার্কেটও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই মার্কেটের দোকান মালিক সমিতি।
এছাড়াও করোনা ঝুঁকির কথা বিবেচনায় রেখে চট্টগ্রামে ১১টি অভিজাত বিপণিবিতান ঈদের আগে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সিলেটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন তারা ঈদের আগে দোকান খুলবেন না। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকার দোকান মালিক সমিতি ঈদের আগে দোকান না খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।