ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পাবনায়!

অতি তীব্র তাপদহ বয়ে যাচ্ছে পাবনা জেলার ওপর দিয়ে। অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। পাবনার ঈশ্বরদীতে আজকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছরের ১৫ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেটিই ছিলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আজকে সেটিও ছাড়িয়ে গেল।

সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের এতথ্য নিশ্চিত করেছেন পাবনার ঈশ্বরদীর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন।

তিনি জানান, ‘পাকিস্তান আমলে পাবনার ঈশ্বরদীতে আবহাওয়া অফিস প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করার ইতিহাস নেই। গত বছরের ১৫ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আজকের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ কিনা তা ঢাকার অফিস বলতে পারবো। তবে হয়তো আজকের ঈশ্বরদীর তাপমাত্রাই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হবে।

সকাল থেকেই অতি তীব্র তাপদহ বইছে পাবনা জেলা জুড়ে। আগুনের ভোলকা যেন গায়ে বিদ্ধ হচ্ছে। জেলার বাতাসে যেন আগুনের হল্কা বের হচ্ছে। এমন গরমে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

এদিকে প্রথর রোদ তীব্র দাবদাহের পাশাপাশি ব্যাপক লোডশেডিংয়ে গোটা পাবনাবাসী অতিষ্ঠ। রমজান এবং পবিত্র ইদুল ফিতরকে সামনে রেখে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যস্ততায় তাপদাহ ও লোডশেডিংয়ের প্রভাব পড়েছে ব্যাপকভাবে।

শহরের আব্দুল হামিদ রোডের রিকশাচালক মঈন উদ্দিন বলেন, ‘পুরো জামা-কাপড় গোসল দেয়ার ভেজা কাপড়ে পরিণত হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে কখন যেন জানটাই বের হয়ে যায়। কিন্তু বাড়িতে বসে থাকলে তো আর জীবন চলবে না তাই রিকশা নিয়ে বের হয়েছিল। এখন কপালে যা থাকে তাই হবে।’

শহরের রাধানগর এলাকার বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘গরমই সহ্য হচ্ছে না। এরমধ্যে আবার যোগ হয়েছে লোডশেডিং। ২৪ ঘন্টার ১০-১২ ঘন্টাই বিদ্যুৎ থাকছে না! এইভাবে জীবন চলে। মন্তব্য করার ভাষাই পাচ্ছি না ভাই। মানুষতো দূরের কথা তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল।’

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ