পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে আঁতাত করে নির্বাচনী মাঠ থেকে কৌশলে সরে গেছেন- এমন অভিযোগে পাবনার একটি পৌরসভায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
গত ১৬ জানুয়ারি পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভা নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২য় বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হোন পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের ছেলে গোলাম হাসনায়েন রাসেল।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল ভাঙ্গুড়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবদুল কাদেরের। ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেয়ার পর তথ্য গরমিলের কারণে গত ২২ ডিসেম্বর তার প্রার্থিতা বাতিল হয়।
এই বাতিলের বিরুদ্ধে আবদুল কাদের পাবনার জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করেন। ২৭ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শুনানির পর রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রেখে আপিলের রায় ঘোষণা করা হয়। মেয়র পদে একাধিক পদপ্রার্থী না থাকায় গোলাম হাসনাইন রাসেলকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান।
এ ঘটনাকে ‘রহস্যজনক’ আখ্যা দিয়ে স্থানীয় নেতারা কেন্দ্রের কাছে চিঠি দিয়েছেন। এতে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত করছে বিএনপি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে অভিযুক্ত বিএনপির প্রার্থী আবদুল কাদের কারও সঙ্গে আঁতাত কিংবা টাকার লেনদেনের অভিযোগ সঠিক নয় বলে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন।