বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে পাবনায় চলমান সমাবেশে ছুরিকাঘাতে আহত জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনির আহম্মেদের অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহীতে স্থানান্তর করা হয় বলে পাবনা বার্তা ২৪ ডটকমকে নিশ্চিত করেন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মনিরের সঙ্গে থাকা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকও পাবনা বার্তা ২৪ ডটকমকে নিশ্চিত করে বলেন, মনিরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। তাকে আমরা প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি, সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। এবিষয়ে পরে জানাবো।
এর আগে সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গোপালপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সামনে সমাবেশের মাঝে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির বিদ্যমান দুই গ্রুপ। এসময় মনির আহমেদসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় দ্রুত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষে সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেলে নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছোটাছুটি করতে থাকে। ছোটাছুটিতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। পাল্টাপাল্টি স্লোগান উত্তেজনা বিরাজ করে কার্যালয়ে ভেতরে। এসময় বীণাবানী হলের সামনে থাকা পুলিশ ও ডিবি এসে বিএনপির কার্যালয়স্থ সমাবেশের সম্মুখে অবস্থান নেয়।
দ্রুত নিজেদের বলয়ের নেতাকর্মীদের ব্যারিকেডে সমাবেশস্থল ত্যাগ করে বিএনপি’র শীর্ষ নেতারা।
উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এই সমাবেশে শুরু হয় দুপুর ২টায়। বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে যুগ্ম মহাসচিব হারুন উর রশীদ হারুনের বক্তব্য চলাকালে যুবদল নেতা তসলিম হাসান সুইট ও মনির আহমেদের গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির শুরু হয়। এক পর্যায়ে মনিরকে ছুরিকাঘাত করলে সমাবেশস্থলে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসময় মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জেলা বিএনপি’র আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে ও সদস্য-সচিব সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব হারুন উর রশীদ হারুন এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ওবায়দুল রহমান চন্দন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।