ঈদের আর মাত্র বাকি তিনদিন। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। প্রতিবছর এই সময়ে ঈদযাত্রায় নৌরুটে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার আরিচা-কাজিরহাটে নৌরুট যাত্রীদের চাপ থাকলেও এবার তেমন নেই। এখনও মোটামুটি ফাঁকা রয়েছে রুটটি।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরের দিকে উভয় ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় ঘরমুখো মানুষের সংখ্যা বেশি। তবে ভিড় নেই, নেই কোনও চাপ। কোন ধরনের বিড়ম্ননা ছাড়াই ঘাট পার হচ্ছেন মানুষ। এছাড়াও ঘাট অভিমুখে মহাসড়কেও নেই কোনও গাড়ির জটলা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর দেড়টা) ঘরমুখো মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না।
আরিচা ঘাটের ব্যবস্থাপক আবু আবদুল্লাহ বলেন, এবারের ঈদযাত্রায় আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৪টি ফেরি। আগে ৩টি ফেরি কাজ করলেও সম্প্রতি যোগ হয়েছে সুফিয়া কামাল নামের আরেকটি ফেরি। ফলে আশা করছি যানবাহনের চাপ আসলেও কোনও সমস্যা হবে না।
তবে মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য দুঃসংবাদ দিয়েছেন ঘাটের এই ব্যবস্থাপক। তিনি বলেন, মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ফলে সড়ক পথে মোটরসাইকেল আসার সুযোগ নেই। আর কোনও ভাবে আসলেও ফেরিতে উঠতে দেয়া হবে না। মোটরসাইকেল পরিবহনে আমাদের কোন নির্দেশনা নাই।
এদিকে কাজিরহাট ঘাটে নেই কোনও গাড়ির চাপ। ট্রাক টার্মিনালে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক থাকলেও তেমন অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। তবে এই ঘাটে রাজধানীমুখি পশুবাহী ট্রাকগুলোকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাজিরহাট ঘাটের টার্মিনাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট (টিএস) সাব্বির রহমান।
তিনি বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ ফেরি প্রস্তুত রয়েছে, আমরাও প্রস্তুত রয়েছে। মানুষের চাপ আসলেও কােনও সমস্যা হবে না। এপার থেকে অত্যন্ত সুন্দর ভাবে সঠিক সময়ে ফেরিগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। মানুষও স্বস্তিতে আমরাও স্বস্তিতে।