আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনছি: পাবনায় শিক্ষামন্ত্রী

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানিয়ে শিক্ষমন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছেন, ‘আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনছি। শিক্ষাকে জাতির উন্নতি ও আনন্দময় করতে চেষ্টা করছি। শিক্ষা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় হয় সেই চেষ্টা করছি। যেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবান্ধব হয় সেই চেষ্টাও করছি। এছাড়াও মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ যেন আমরা তৈরি করতে পারি তার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।’

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক’- শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থার এই পরিবর্তনে শিক্ষকদের সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে। এছাড়াও অভিভাবকসহ আমাদের সমাজের সকলের ভূমিকা রয়েছে।’

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে জানতে হলে তাকে অনুধাবন করতে হবে, হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। তিনি যেমন বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার আকাঙ্খাকে মানুষের স্বপ্নকে নিজের বুকে ধারণ করেছিলেন সেভাবে সেই স্বপ্ন, আকাঙ্খা ও সাহসকে আপনার মনে ধারণ করতে হবে। তাহলেই আপনারা তার যোগ্যকর্মী ও যোগ্য নেতা হয়ে উঠতে পারবেন।’

দিপু মনি বলেন, ‘ এই বাংলাদেশ মুজিবের বাংলাদেশ, এই বাঙালি মুজিবের বাঙালি। কারণ, পৃথিবীর যেখানেই বাঙালিরা গেছেন, সেখানে কেউ বাংলাদেশকে চেনেনি, কিন্তু যখনই বলা হয়েছে শেখ মুজিবের দেশ, তখনই চিনেছে। সেজন্যই তিনি বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক।’

তিনি বলেন, ‘মুজিবকন্যা সেদিন বিদেশে নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফিরে আসছিলেন সেদিন বাঙালির কান্না আর তার কান্না একাকার হয়ে গিয়েছিল। সেদিন তিনি সমস্ত মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই গত ৪১ বছরের বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনাকে অন্তত পক্ষে ২১ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।’

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একাত্তরের ঘাতক, পচাত্তরের ঘাতক ও ২১ আগস্টেও ঘাতক এক ও অভিন্ন। আজও তারা আস্ফালোন করে আরেকটি আজও তারা আস্ফালন করে আরেকটি ১৫ই আগস্ট ঘটানোর জন্য। এজন্য আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে সজাগক থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে। যেন কোনোভাবেই এরা সফল হতে না পারে।’

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পাবনা-৪ আসনের সাংসদ নুরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা-২ আসনের সাংসদ আহমেদ ফিরোজ কবির, বিশ্ববিদ্যলয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, অ্যাটকোর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, বাংলাদেশ সরকারি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. নূরজাহান বেগম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান।

অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মাঝে গবেষণা সম্মাননা স্মারক তুলে দেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানের শুরুতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শণ করা হয়। এর আগে ডা. দিপু মনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেই ক্যাম্পাসে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত স্মারক মূর‌্যাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’ এ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেন।

error: কাজ হবি নানে ভাই। কপি-টপি বন্ধ