সম্প্রতি করোনা ভাইরাস জয় করে বাড়ি ফেরা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। তিনি করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) পরবর্তী সেকেন্ডারি নিউমোনিয়ায় ভুগছেন। স্বরতন্ত্রের প্রদাহের কারণে তার কথা বলা নিষেধ। দীর্ঘ একমাস রোগে ভোগায় তার শরীর দুর্বল।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জি আর কোভিড-১৯ র্যাপিড ডট ব্লট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস নির্ভর, বিকল কিডনি রোগী হিসেবে ডা. জাফরুল্লাহ দীর্ঘ এক মাস রোগভোগের কারণে শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছেন। শ্বাসযন্ত্রে প্রদাহের কারণে তার এখন কথা বলা বারণ।
ডা. জাফরুল্লাহকে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ দেখে গিয়েছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানান ডা. মুহিব।
দেশ ও মানুষের প্রয়োজনে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত জিআর কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) র্যাপিড এন্টিবডি কিট নিবন্ধন না পাওয়া মুক্তিযুদ্ধের এই সংগঠক খুবই বিষণ্ন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র শিগগিরই কভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য আইসিইউ চালু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অসুস্থতার মধ্যেও অর্থ জোগাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ডা. জাফরুল্লাহ। হাসপাতালে বসেই গণস্বাস্থ্যের সকল প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছেন।
গত ২৫ মে করোনায় আক্রান্ত হন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গণস্বাস্থ্য উদ্ভাবিত কিটেই তার করোনা ধরা পড়ে বলে জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকরা। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষাতেও তিনি করোনা পজিটিভ হন। এরপর ১৩ জুন তিনি করোনা থেকে সেরে উঠেন।
ব্রেকিংনিউজ/ এসএ