পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার ৩৮নং রাঘবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাকী বিল্লাহ ওরফে টুকু মাস্টার এক নারীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পরার ঘটনা ফাঁস। ঘটনাটি টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ায় শিক্ষক মহলে নানা গুঞ্জন ও তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
ওই শিক্ষক বাকী বিল্লাহ ওরফে টুকু মাস্টার আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া গ্রামের মৃত সিফাতুল্লাহ প্রামানিকের ছেলে। এঘটনায় এলাকাজুড়ে তোলপাড় ও নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে। একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় শিক্ষক নেতা, এলাকাবাসী ও বিশ্বস্ত সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে,
সুত্রে জানা যায়, গত ১৬ আগষ্ট পাবনা শহরের অস্থায়ী ভাড়া বাসায় যায় প্রধান শিক্ষক বাকি বিল্লাহ ওরফে টুকু মাস্টার। সেখানে জনৈক রূপা খাতুনের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে স্থানীয় লোকজন তাকে হাতে নাতে আটক করে।পরে টাকার বিনিময়ে সেখান থেকে ছাড়া পান প্রধান শিক্ষক বাকি বিল্লাহ। এলাকাবাসীরা জানান, ওই শিক্ষক প্রায়ই এরকম ঘটনা ঘটায় এবং টাকার জোরে বেঁচে যায়।
গত কোরবানীর ঈদে তিনি অনৈতিক কাজের উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে এক নারীকে নিয়ে আসেন। এতে তার স্ত্রী এবং প্রতিবেশী নুরু ও সাঈদের সঙ্গে এ বিষয়ে ঝগড়া বিবাদ হয়।
এলাকাবাসী রইচ উদ্দিন রবি, রফিজ উদ্দিন, রিপন, কচি, আবু সাঈদ, নাসির উদ্দিনসহ অনেকেই জানান, প্রধান শিক্ষক বাকী বিল্লাহ ওরফে টুকু মাস্টার গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে হাজিরা দিয়ে ব্যাংকের কথা বলে পাবনায় অস্থায়ী ভাড়াটিয়া বাসায় যায়। সেখানে জনৈক রূপা খাতুনের সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে স্থানীয় লোকজন তাকে হাতেনাতে আটক করে পরে অর্থের বিনিময়ে তা ধামাচাপা দেয়।
তারা আরও জানান, সে প্রায়ই এরকম ঘটনা টাকার বিনিময়ে বেঁচে যায়। তবে এলাকাবাসী তার অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক বাকী বিল্লাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ১৬ আগস্ট দুপুরে আমি পাবনা শহরে রিকসা যোগে যাচ্ছিলাম। অপরিচিত কয়েক জন যুবক আমার চলার পথ গতিরোধ করে অজ্ঞাত এক মহিলাকে আমার রিকসায় জোর পৃর্বক তুলে দিয়ে পাবনা সিঙ্গা বাজার একটি ছাত্রাবাসে নিয়ে আটক করে রাখে এবং আমার কাছে থেকে ৪২ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দেয়।